ঢাকা ১০:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার এরশাদের টার্গেট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৪৭ বার

জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করলেও হাল ছাড়েননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। আগামী সংসদ নির্বাচনে একক সির্বাচন করবেন তিনি। এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টির এবারের টার্গেট ১৫১। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫১ আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে চান তিনি। এ জন্য নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আমি যেখানেই যাচ্ছি জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখছি। অথচ গত এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার দলের তিন মেয়র প্রার্থী পেয়েছিলেন সর্বসাকল্যে ১৩,৬০০ ভোট। গণতন্ত্রের জন্য ৯০-এ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ আমার প্রতি জুলুম করেছেন। আমার স্ত্রী-সন্তান এবং দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করেছেন। আমাদের জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদেই বিরোধী দল ঠিকমতো উপস্থিত ছিল না। একটা সময় গিয়ে দলগুলো পদত্যাগ করেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিলাম, কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় গেল গণতন্ত্র? সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে এখন কোন গণতন্ত্র চলছে? কারো কি কথা বলার সাহস আছে? কারো লেখার সাহস আছে? কেউ কিছু বলতে পারছেন না। বিএনপির সংলাপের প্রস্তাবে এরশাদ বলেন, এখন সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বিএনপি। খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারবেন কিনা তারও ঠিক নেই। তিনি বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের প্রতিশ্রুতি মতো আসন দিলে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারতো না বিএনপি। তার দেশে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিও করতে পারত না। এরশাদ বলেন, যারা বলছেন এরশাদ-রওশনের মধ্যে মিল নেই, তারা ঠিক বলছেন না। তিনি দলের কর্মকাণ্ডে আছেন, সংসদেও কথা বলছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়, সাইদুর রহমান টেপা ও এস এম ফয়সাল চিশতী, বাহাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সম্মেলন শেষে ভোটের মাধ্যমে মহানগর উত্তরের নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও বর্তমান সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতীকে পুনরায় সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার এরশাদের টার্গেট

আপডেট টাইম : ০৯:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা শোচনীয় পরাজয় বরণ করলেও হাল ছাড়েননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। আগামী সংসদ নির্বাচনে একক সির্বাচন করবেন তিনি। এরশাদ বলেছেন, জাতীয় পার্টির এবারের টার্গেট ১৫১। আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫১ আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে চান তিনি। এ জন্য নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আমি যেখানেই যাচ্ছি জাতীয় পার্টি নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখছি। অথচ গত এপ্রিলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার দলের তিন মেয়র প্রার্থী পেয়েছিলেন সর্বসাকল্যে ১৩,৬০০ ভোট। গণতন্ত্রের জন্য ৯০-এ ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছি উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ আমার প্রতি জুলুম করেছেন। আমার স্ত্রী-সন্তান এবং দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করেছেন। আমাদের জেলে পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি সংসদেই বিরোধী দল ঠিকমতো উপস্থিত ছিল না। একটা সময় গিয়ে দলগুলো পদত্যাগ করেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দিলাম, কোথায় সেই গণতন্ত্র? কোথায় গেল গণতন্ত্র? সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে এখন কোন গণতন্ত্র চলছে? কারো কি কথা বলার সাহস আছে? কারো লেখার সাহস আছে? কেউ কিছু বলতে পারছেন না। বিএনপির সংলাপের প্রস্তাবে এরশাদ বলেন, এখন সংলাপের প্রস্তাব দেয়ার মতো অবস্থায় নেই বিএনপি। খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারবেন কিনা তারও ঠিক নেই। তিনি বলেন, ২০০৮-এর নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের প্রতিশ্রুতি মতো আসন দিলে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারতো না বিএনপি। তার দেশে ধ্বংসাত্মক রাজনীতিও করতে পারত না। এরশাদ বলেন, যারা বলছেন এরশাদ-রওশনের মধ্যে মিল নেই, তারা ঠিক বলছেন না। তিনি দলের কর্মকাণ্ডে আছেন, সংসদেও কথা বলছেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুনীল শুভ রায়, সাইদুর রহমান টেপা ও এস এম ফয়সাল চিশতী, বাহাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সম্মেলন শেষে ভোটের মাধ্যমে মহানগর উত্তরের নতুন কমিটি গঠনের কথা থাকলেও বর্তমান সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতীকে পুনরায় সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন এরশাদ।