ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকারী ফল কমলালেবু

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ২১১ বার

কমলালেবু সারা পৃথিবীতে ভীষণ পরিচিত একটি ফল। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এই ফল পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সারা বছর ফলটি পাওয়া যায়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে কমলা পাওয়া যায় না। কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দুটি চোখ, নখ, চুল, হাড়, সর্বোপরি পুরো দেহের জন্য ভীষণ উপকারী। শিশু বয়স থেকে এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ভিটামিন সি পুরো দেহের চামড়ার পুষ্টি যোগায়, বহুবিধ ছোঁয়াচে অসুখ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। গরম ঠাণ্ডাজনিত অসুখগুলো থেকে রক্ষা করে এই ফল।কমলালেবুতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড (carotinoid) নামক এক ধরণের উপাদান, যা ভাইরাসজনিত ইনফেকশনকে প্রতিহত করে। ডায়রিয়ার জীবাণুকে করে দুর্বল। তারুণ্য বজায় রাখতে যুদ্ধ করে দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে।কমলালেবুতে আরও আছে উপকারী বন্ধু ‘bita carotin’, এই উপাদান দেহের শীতকালীন অসুখ দূর করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। মুখ ও ঠোটের কোণায় ঘা, টনসিল, কাশি, শারীরিক দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।এই ফলে রয়েছে ‘anti oxidant’ নামে এক জরুরী উপাদান , যা দেহের বিষাক্ত জীবাণুকে মেরে ফেলতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিক রোগীর জন্যও এই ফল খুব দরকারি।তবে ডায়াবেটিক রোগীরা মিষ্টি কমলালেবু না খেয়ে টক লেবু খাবেন। কিছুটা টক লেবু তাদের জন্য বয়ে আনবে সুফল।এই ফল শরীরে টক্সিন এর পরিমাণ কমায়। বেড়ে যাওয়া টক্সিন দেহে বিভিন্ন রকম অসুখ তৈরি করে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খান। তবে এই ফলে পটাশিয়াম আছে। যা কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত সকল রোগীর জন্য খাওয়াটা উচিত হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিৎ।যেকোনও ঘা, জিহ্বায় ঘা, কাটা ও সেলাইজনিত চামড়া, মাংসপেশি শুকানোর জন্য কমলালেবু ভীষণ উপকারী ফল। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এই ফল খায়, তাদের দাঁতের অসুখ হয় তুলনামূলকভাবে কম। তবে শুধু এই ফল খেলে চলবে না। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে।চোখের পাতায় ইনফেকশন (conjunctivitis) বা চোখ ওঠা ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ। এই অসুখগুলোর বিরুদ্ধ লড়াই করে কমলালেবু।কমলালেবুতে লিপিড বা ফ্যাট নেই। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা দুশ্চিনতামুক্ত হয়ে এই ফল খান। ঠোঁট ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া রোধ করে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এই দুই ধরণের ভিটামিন এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।এই ফলের পুষ্টিগুণ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজ এ সংরক্ষণ না করাই ভালো।পৃথিবীর একেক দেশে একেক প্রজাতির কমলালেবু পাওয়া যায়। সব ধরনের লেবু উপকারী। কমলালেবু কিনতে না পারলে, ভাতের সাথে যে লেবু আমরা খাই তা নিয়মিত খান।সব বয়সের মানুষের জন্য ভিটামিন সি খুব দরকারি। আমাদের শরীরে প্রয়োজনের বেশি লিপিড বা ফ্যাট রক্তে জমা হয়। কিন্তু ভিটামিন সি জমা হয় না। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি খাওয়া ভীষণ জরুরী। তবে অ্যাসিডিটি যাদের বেশি হয়, তারা রাতে লেবু খাবেন না। কমলালেবু খাবার পর দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিবেন।সায়ানোসাইটিস অসুখের রোগীদের খুব দ্রুত শীতকালীন অসুখগুলো হয়। তাদের জন্য এই ফল খুব উপকারী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

উপকারী ফল কমলালেবু

আপডেট টাইম : ০৯:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

কমলালেবু সারা পৃথিবীতে ভীষণ পরিচিত একটি ফল। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে এই ফল পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সারা বছর ফলটি পাওয়া যায়। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নেই, যেখানে কমলা পাওয়া যায় না। কমলাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এই ভিটামিন দুটি চোখ, নখ, চুল, হাড়, সর্বোপরি পুরো দেহের জন্য ভীষণ উপকারী। শিশু বয়স থেকে এই ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

ভিটামিন সি পুরো দেহের চামড়ার পুষ্টি যোগায়, বহুবিধ ছোঁয়াচে অসুখ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। গরম ঠাণ্ডাজনিত অসুখগুলো থেকে রক্ষা করে এই ফল।কমলালেবুতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েড (carotinoid) নামক এক ধরণের উপাদান, যা ভাইরাসজনিত ইনফেকশনকে প্রতিহত করে। ডায়রিয়ার জীবাণুকে করে দুর্বল। তারুণ্য বজায় রাখতে যুদ্ধ করে দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলোর বিরুদ্ধে।কমলালেবুতে আরও আছে উপকারী বন্ধু ‘bita carotin’, এই উপাদান দেহের শীতকালীন অসুখ দূর করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। মুখ ও ঠোটের কোণায় ঘা, টনসিল, কাশি, শারীরিক দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।এই ফলে রয়েছে ‘anti oxidant’ নামে এক জরুরী উপাদান , যা দেহের বিষাক্ত জীবাণুকে মেরে ফেলতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিক রোগীর জন্যও এই ফল খুব দরকারি।তবে ডায়াবেটিক রোগীরা মিষ্টি কমলালেবু না খেয়ে টক লেবু খাবেন। কিছুটা টক লেবু তাদের জন্য বয়ে আনবে সুফল।এই ফল শরীরে টক্সিন এর পরিমাণ কমায়। বেড়ে যাওয়া টক্সিন দেহে বিভিন্ন রকম অসুখ তৈরি করে। তাই নিয়মিত কমলালেবু খান। তবে এই ফলে পটাশিয়াম আছে। যা কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত সকল রোগীর জন্য খাওয়াটা উচিত হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া উচিৎ।যেকোনও ঘা, জিহ্বায় ঘা, কাটা ও সেলাইজনিত চামড়া, মাংসপেশি শুকানোর জন্য কমলালেবু ভীষণ উপকারী ফল। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত এই ফল খায়, তাদের দাঁতের অসুখ হয় তুলনামূলকভাবে কম। তবে শুধু এই ফল খেলে চলবে না। নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিতে হবে।চোখের পাতায় ইনফেকশন (conjunctivitis) বা চোখ ওঠা ভীষণ ছোঁয়াচে রোগ। এই অসুখগুলোর বিরুদ্ধ লড়াই করে কমলালেবু।কমলালেবুতে লিপিড বা ফ্যাট নেই। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা দুশ্চিনতামুক্ত হয়ে এই ফল খান। ঠোঁট ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া রোধ করে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এই দুই ধরণের ভিটামিন এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।এই ফলের পুষ্টিগুণ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজ এ সংরক্ষণ না করাই ভালো।পৃথিবীর একেক দেশে একেক প্রজাতির কমলালেবু পাওয়া যায়। সব ধরনের লেবু উপকারী। কমলালেবু কিনতে না পারলে, ভাতের সাথে যে লেবু আমরা খাই তা নিয়মিত খান।সব বয়সের মানুষের জন্য ভিটামিন সি খুব দরকারি। আমাদের শরীরে প্রয়োজনের বেশি লিপিড বা ফ্যাট রক্তে জমা হয়। কিন্তু ভিটামিন সি জমা হয় না। তাই নিয়মিত ভিটামিন সি খাওয়া ভীষণ জরুরী। তবে অ্যাসিডিটি যাদের বেশি হয়, তারা রাতে লেবু খাবেন না। কমলালেবু খাবার পর দুধ জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ দিবেন।সায়ানোসাইটিস অসুখের রোগীদের খুব দ্রুত শীতকালীন অসুখগুলো হয়। তাদের জন্য এই ফল খুব উপকারী।