ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুমকি দিয়ে পিছু হটানো যাবে না- তারা ভুল করছেন : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ২২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশের সেনারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা পশ্চিমা হুমকিতে বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই অভিযান বন্ধ করতে পারবে না। রোববার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরিয়ায় অভিযান শুরুর পর আমরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র অবরোধের মতো হুমকি পাচ্ছি, কিন্তু যারা ভাবছে এসব হুমকি দিয়ে তুরস্ককে পিছু হটানো যাবে- তারা ভুল করছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, অস্ত্র অবরোধের ব্যাপার নিয়ে তিনি বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘আমি তাকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। তাকে এও বলেছি যে, আমরা সত্যিকার অর্থে মিত্র নাকি আমাকে না জানিয়েই কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ন্যাটো জোটে গ্রহণ করা হয়েছে?’ ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠী ও তুরস্কের ভেতরে মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনাও এরদোগান নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা এ ধরনের পরিকল্পনা করছে তারা কিভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদেরকে আলোচনার এক টেবিলে নিতে পারে? গত বুধবার থেকে তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের উচ্ছেদ করতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সিরিয়া সরকার এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে। ফ্রান্স ও জার্মানি শনিবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা তুরস্কে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করছে। খবর দ্য ডনের। এর জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইউরোপিয়ানদের এ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় কুর্দি সন্ত্রাসীদের ওপর চালানো সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। তুরস্কের সামরিক বাহিনী গত বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যেসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তুর্কি সেনারা ব্যবহার করতে পারেন, তার সবই আঙ্কারার কাছে রফতানি করা বন্ধ থাকবে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে জার্মান সরকার তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। জার্মানি হচ্ছে তুরস্কের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপিয়ানরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার এক ভাষণে এরদোগান বলেন, এসব হুমকি সত্তে¡ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে সেখানে ২৪টি গ্রাম কুর্দিশ‚ন্য করা হয়েছে। সেখানে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসন করা হবে। রয়টার্স, ইয়েনি শাফাক, পার্সটুডে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

হুমকি দিয়ে পিছু হটানো যাবে না- তারা ভুল করছেন : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট

আপডেট টাইম : ০৮:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তার দেশের সেনারা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তা পশ্চিমা হুমকিতে বন্ধ হবে না। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এই অভিযান বন্ধ করতে পারবে না। রোববার জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, সিরিয়ায় অভিযান শুরুর পর আমরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র অবরোধের মতো হুমকি পাচ্ছি, কিন্তু যারা ভাবছে এসব হুমকি দিয়ে তুরস্ককে পিছু হটানো যাবে- তারা ভুল করছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, অস্ত্র অবরোধের ব্যাপার নিয়ে তিনি বুধবার জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘আমি তাকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে বলেছি। তাকে এও বলেছি যে, আমরা সত্যিকার অর্থে মিত্র নাকি আমাকে না জানিয়েই কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ন্যাটো জোটে গ্রহণ করা হয়েছে?’ ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠী ও তুরস্কের ভেতরে মধ্যস্থতা করার পরিকল্পনাও এরদোগান নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা এ ধরনের পরিকল্পনা করছে তারা কিভাবে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদেরকে আলোচনার এক টেবিলে নিতে পারে? গত বুধবার থেকে তুরস্ক সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি গেরিলাদের উচ্ছেদ করতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে। সিরিয়া সরকার এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এর মাধ্যমে সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে। ফ্রান্স ও জার্মানি শনিবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা তুরস্কে অস্ত্র রফতানি স্থগিত করছে। খবর দ্য ডনের। এর জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইউরোপিয়ানদের এ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞায় কুর্দি সন্ত্রাসীদের ওপর চালানো সামরিক অভিযান বন্ধ হবে না। তুরস্কের সামরিক বাহিনী গত বুধবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ওয়াইপিজি গেরিলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে যেসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তুর্কি সেনারা ব্যবহার করতে পারেন, তার সবই আঙ্কারার কাছে রফতানি করা বন্ধ থাকবে। এর কয়েক ঘণ্টা আগে জার্মান সরকার তুরস্কের কাছে অস্ত্র রফতানি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। জার্মানি হচ্ছে তুরস্কের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপিয়ানরা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার এক ভাষণে এরদোগান বলেন, এসব হুমকি সত্তে¡ও কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। ইতিমধ্যে সেখানে ২৪টি গ্রাম কুর্দিশ‚ন্য করা হয়েছে। সেখানে তুরস্কে আশ্রয় নেয়া সিরীয় শরণার্থীদের পুনর্বাসন করা হবে। রয়টার্স, ইয়েনি শাফাক, পার্সটুডে।