হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুলিয়ারচর উপজেলার ডুমরাকান্দা বাজারের একটি চুরির মামলার তদন্তে নেমে নরসিংদীর রায়পুরা ও মনোহরদী, কিশোরগঞ্জের ভৈরব এবং ঢাকার সাভারে অভিযান চালিয়ে সোহেল মিয়া (৩০), মো. মহসীন (৪৫), উজ্জল (৪৪), মাহাবুব আলম খাঁন (৫০) ও মো. মুসলিম মিয়া (৫৫) নামে আন্ত:জেলা চোর দলের পাঁচ দুর্ধর্ষ চোরকে গত ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন ২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর নিকটে পূবাইল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক (ঢাকা – মেট্রো -১৪- ৬২৬৫) আটক করা হয়। এসময় ট্রাকে থাকা ভ্যাকসিন ও কীটনাশক জাতীয় প্রচুর পরিমাণ ঔষধসহ বিভিন্ন চোরাই পণ্য উদ্ধার করে পুলিশ।
সেই চোরদলের পাঁচ সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গত ৬ মার্চ পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজারে একটি ভ্যাকসিন মুরগির প্রায় ১৪ লাখ টাকার ঔষধ চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল তারা। এ সময় দোকান থেকে ভ্যাকসিনভর্তি একটি ফ্রিজ নিয়ে যায় চোরদল।
রিমান্ডে দেয়া তাদের তথ্যের ভিত্তিতে কুলিয়ারচর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে কুলিয়ারচর থানার একটি টিম বুধবার (২ অক্টোবর) মধ্যরাতে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাফিজপুর গ্রামে রিমান্ডে থাকা আসামি সোহেল মিয়ার ঘর থেকে সেই চোরাই ফ্রিজটি উদ্ধার করা হয়। প্রায় ১০জনের একটি চোরদল একটি ট্রাক নিয়ে এসে চুরিটি সংঘটিত করে। দোকানের তালা ভেঙে তারা ফ্রিজভর্তি ১৪ লাখ টাকার ঔষধ ফ্রিজসহ নিয়ে গিয়েছিল। এভাবেই এক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে আরেকটি মামলার রহস্য উন্মোচন করেছেন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম আজাদ।
এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, গত ৬ মার্চ পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজারের সফিউদ্দিন মার্কেটে ওই চুরির ঘটনায় পরদিন ৭ মার্চ পাকুন্দিয়া থানায় মামলা (নং-২, ধারা-৩২৮/৪৬১/৩৮০ দণ্ডবিধি) দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন পর অবশেষে সেই মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে কুলিয়ারচর থানার ওই মামলার তদন্তে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে।
এসআই আবুল কালাম আজাদ আরো জানান, এই চোর দলটি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কীটনাশক ও মুরগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ভ্যাটেনারী মেডিসিন ব্যবসায়ীদের দোকানে গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে আসছে। চুরির কাজে তারা তাদের একটি ট্রাক ব্যবহার করে থাকে। সেই ট্রাকটিও তারা আটক করতে পেরেছেন। এখন এই চোর দলের বাকি সদস্যদের ধরতে তারা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।