হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এঁর বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের টানা তিন বারের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এবং জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার নেলী এর ১৯তম বিয়ে বার্ষিকী আজ (৮ অক্টোবর)। ২০০০ সালের আজকের দিনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সদা প্রাণোচ্ছ্বল এই যুগল।
১৯৬৯ সালের ২৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং রাশিদা খানমের কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিনি আজ হাওরের জনগণের অভিভাবক। তিন ভাই এবং এক বোনের মধ্যে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সবার বড়।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার নেলী জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী গ্রামের গর্বিত সন্তান। বাবা মো. শামছুল হুদা কর্মরত ছিলেন বিমানবাহিনীতে। ছয় বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ শামছুন নাহার নেলী।
মূলত পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয়। সংসদ নির্বাচনে পিতার একজন কর্মী হিসেবে হেঁটেছেন হাওরের মাঠ-ঘাট, জনপদ। হাওর অধ্যুষিত তিন উপজেলা ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাতবারের সংসদ সদস্য মো. আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। জনতার দেয়া উপাধি ‘ভাটির শার্দুল’ থেকে এই জননেতা এখন রাষ্ট্রের অভিভাবক।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মো. আবদুল হামিদ প্রথম মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ফলে তাঁর আসনটি শূণ্য ঘোষণা করে উপনির্বাচনের তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন। শূণ্য এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিককে। উপনির্বাচনে সহজ জয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক তাঁর মার্জিত ব্যবহার ও সদালাপি আচরণ দিয়ে ক্রমেই জিতে নেন হাওরবাসীর হৃদয়।
২০১৩ সালের ৩রা জুলাই অনুষ্ঠিত সেই উপনির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাত্র ছয় মাস আসে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জনপ্রিয় এই এমপি দ্বিতীয় বার পান দলের টিকিট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের টিকিট লাভ করে তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
নিজের কর্মদক্ষতা আর হাওরের মানুষের প্রতি দায়বোধের মাধ্যমে পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে হাওরের রাজনীতিতে স্বমহিমায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছেন। নিজেকে সকল লোভ, মোহ এবং বির্তকের ঊর্ধ্বে রেখে একালের রাজনীতিতে এক ব্যতিক্রমি চরিত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। হাওরের মানুষের মনের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেয়া এই রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠেছেন জনতার তৌফিক।
অন্যদিকে শামছুন নাহার নেলী ছোটবেলাতেই খেলাধুলা, স্কাউটিং, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছিলেন। লেখাপড়ায়ও ছিলেন মেধাবী। রাজনীতি সচেতন শামছুন নাহার নেলী নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন সক্রিয়।
দুই সন্তানের গর্বিত জননী শামছুন নাহার নেলী আইনপেশার পাশপাশি সক্রিয় রয়েছেন রাজনীতিতেও। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্য। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই স্বামী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের পক্ষে চষে বেড়িয়েছেন হাওরের মাঠ-ঘাট, পথ।
রাষ্ট্রপতির পুত্রবধূ হয়েও তিনি যেন এক সাধারণ বাঙালি নারীর প্রতীক। প্রখর ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শামছুন নাহার নেলী খুবই দরদি মনের মানুষ। যারা মিশেছে, কাছে গেছে তারাই পেয়েছে অপরিসীম ভালোবাসা, আদর, মমতা আর সহযোগিতা।