হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুল্লু নাফসিন জায়েক্বাতুল মাউত’ অর্থাৎ প্রত্যেক জানদারকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে। মানুষ এক সময় মৃত্যুবরণ করে চলে যাবে পরপারে। যেমনিভাবে চলে গেছে আমাদের পূর্ববর্তীরা। চলে যাব আমরা। আমাদের পরে যারা আসবে তারাও মৃত্যু বরণ করবে। মৃত্যুর এ ধারা থাকবে বহমান। মৃত্যু পরকালীন জীবনে মানুষের কোনো নেক আমল করার সুযোগ নেই। কিন্তু এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করলে কিয়ামত পর্যন্ত তার ছাওয়াব বা প্রতিদান বহমান থাকবে। এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদিস তুলে ধরা হলো :
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,‘যখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমল ব্যতীত। এই তিনটি আমল হলো, প্রবহমান ছাদাকা, এমন ইলম যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং এমন সুসন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (মুসলিম, তিরমিজি, মিশকাত)
১ প্রবাহমান ছাদাকা
এমন দান-অনুদান করা। এই অনুদানের অস্তিত্ব যতদিন থাকবে, তার ছাওয়াবা বা প্রতিদান ততদিন চলতে থাকবে। হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে মুসলিম অপর মুসলিমকে একটি কাপড় পড়াবে, যতক্ষণ ঐ কাপড়ের একটি টুকরাও তার গায়ে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত দানকারী আল্লাহর হেফাজতে থাকবে (মিশকাত)
আরো পড়ুনঃ
২ উপকারী ইলম
যে ইলম আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা প্রচারে কাজে আসে। যে ইলমে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দ্বীনে দাওয়াতে কাজে আসে। যে লোক ইলম অর্জন করে সে ইলম অন্যকে শিক্ষা দিয়ে যায়। এভাবে ধারা চলতে থাকে যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে এর ছাওয়াব বা প্রতিদান মৃতব্যক্তি পেতে থাকবে।
৩ . সু-সন্তান-
মানুষ মৃত্যুর পূর্বে যদি এমন সন্তান রেখে যায়, যে সন্তান ইসলামের খেদমতে তথা আল্লাহর বিধি-বিধান পালন করে। নামাজ রোজাসহ আল্লাহর আনুগত্য হয়ে কাজ করে। সে সন্তানের দোয়া পিতা-মাতার আমল নামায় যোগ হতে থাকে। এভাবে প্রত্যেক সন্তান যদি তার পরবর্তী প্রজন্মকে সৎ শিক্ষা দিয়ে যান। যতদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তার আমল নামায় এর ছাওয়াব বা প্রতিদান যোগ হতে থাকবে।
পরিশেষে :
আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, পৃথিবীতে প্রতি মানুষকে মৃত্যুর পূর্বে এই তিনটি আমল বা এর কোনো একটি করার তাওফিক দান করেন। আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথে মতে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।