হাওর বার্তা ডেস্কঃ নেপালে পার্লামেন্টের এক নারী সংসদ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সে দেশের সাবেক স্পিকার কৃষ্ণ বাহাদুর মহরা। ওই নারী সাংসদ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরেই রোববার নিজাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার স্পিকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন কৃষ্ণ বাহাদুর। এরপরেই রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই সাবেক স্পিকার।
ওই নারী এমপি অভিযোগ করে বলেছেন, গত রোববার মাতাল অবস্থায় তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে কৃষ্ণ বাহাদুর তাকে যৌন হয়রানি করেন।
ওই নারী ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সকে বলেন, তার বাড়িতে আসার আগেই মাতাল ছিলেন কৃষ্ণ বাহাদুর। সে অবস্থাতেই তিনি তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই নারী সাংসদ আরো বলেন, ‘আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি এমন কিছু ঘটবে। তিনি জোর করে আমার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন। এরপর আমার ওপর চড়াও হন। পরে আমি পুলিশ ডাকব বলতেই তিনি বেরিয়ে যান।’
২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কৃষ্ণ বাহাদুর। এর আগে নেপালে দীর্ঘ দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসানে ২০০৬ সালে মাওবাদীদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছিলো সেখানে প্রধান আলোচকের ভূমিকা পালন করেছিলেন এই ব্যক্তি।
তবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর গত মঙ্গলবারই তিনি স্পিকারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তখন তিনি বলেন, তার চরিত্র নিয়ে যে গুরুতর অভিযোগ সামনে এসেছে তিনি চান সেটার যেন একটা সুষ্ঠু তদন্ত হয়। সে কারণেই তিনি পদত্যাগ করলেন। পদত্যাগের প্রায় সপ্তাহ খানেক পর গ্রেপ্তার হলেন কৃষ্ণ বাহাদুর।
ক্ষমতাসীন দলও তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগের পর তাকে পদত্যাগ করতে বলেছে। নেপালে শীর্ষ কোনো রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘটনা খুবই বিরল। সেখানে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম ঘটে।