হাওর বার্তা ডেস্কঃ কয়েক মাস বিরতির পর স্টকহোমে আমেরিকার সঙ্গে তার দেশের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের যে আলোচনা শুরু হয়েছিল তা ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান আলোচক কিম মিয়ং গিল। সংলাপে এই ব্যর্থতার জন্য তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে দায়ী করেছেন।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে শনিবার উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আলোচনা আমাদের আকাঙ্ক্ষা পূরন করতে পারেনি এবং চূড়ান্তভাবে কোনো অর্জন ছাড়াই তা ভেঙে গেছে। মার্কিন প্রশাসন তার পুরনো স্বভাব বদলাতে পারেনি বলেই আলোচনা ভেঙে গেল।
উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘোষণা করে, আমেরিকার সঙ্গে ৫ অক্টোবর থেকে তাদের সংলাপ আবার শুরু হতে যাচ্ছে। এরপর দেশটির আলোচক দল বৃহস্পতিবার স্টকহোমে পৌঁছায়।
শনিবার সকালে স্টকহোমের ঠিক বাইরে অবস্থিত ‘লিডিঙ্গো’ দ্বীপে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল আলোচনায় বসে। এতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কিম মিয়ং গিল এবং আমেরিকার নেতৃত্ব দেন সেদেশের উত্তর কোরিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি স্টিফেন বিগান। কিন্তু দিনের শেষে উত্তর কোরিয়ার প্রধান আলোচক জানালেন তাদের সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে।
কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে আমেরিকার উদ্যোগে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে গত বছরের জুন মাসে ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সংলাপ শুরু হয়।
ওই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হন। এরপর দুই নেতা আরো দুইবার সরাসরি সাক্ষাৎ করলেও দ্বিপক্ষীয় সংলাপে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে যেকোনো পরিবর্তন আনার আগে দেশটির ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায়। অন্যদিকে আমেরিকা আবদার করছে, আগে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস করতে হবে এবং তারপরই হবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার।