ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা নিয়ে ইয়াবা না দেয়ায়..

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ২২৪ বার

ইয়াবা দেয়ার নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন জাহিদুল। কিন্তু ইয়াবা না দেয়ায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামী ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এমনটাই জানিয়েছেন।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ শওকত (১৯) শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের  জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রবিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে। এর আগে গত ৪ঠা অক্টোবর ভোরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ও ওসি (অপারেশন) কামরুজ্জামান বান্দরবন জেলার আর্মি পাড়া থেকে শওকতকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (অপারেশন) কামরুজ্জামান  জানান, শওকত ইয়াবা ব্যবসার অগ্রিম হিসাবে তার প্রতিবেশী ও বন্ধু জাহিদুলকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করে। টাকা নিয়ে ইয়াবা না দেয়ায় জাহিদুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে শওকত কৌশলে তার সহযোগিদের নিয়ে জাহিদুলের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে গা ঢাকা দেয়।

শওকত ওই এলাকার শেখ সিরাজের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব বাঘড়া এলাকার মৃত মল্লুক চাঁনের ছেলে ও শাহাবুদ্দিন মাস্টার হত্যা মামলার ৪ বছর সাজা ভোগকারী আসামি রুবেলের ভাই মো. জাহিদুল (১৯) গত ২১শে সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন জাহিদুলের বোন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৫শে সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয়রা জাহিদুলের বাড়ি থেকে একটু দূরে লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধারের ২ দিন পর শ্রীনগর থানার এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডে শওকত ছাড়াও তার আরও ২ সহযোগি অংশ নেয়। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

টাকা নিয়ে ইয়াবা না দেয়ায়..

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৯

ইয়াবা দেয়ার নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েছিলেন জাহিদুল। কিন্তু ইয়াবা না দেয়ায় তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আসামী ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে এমনটাই জানিয়েছেন।

জানা যায়, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে নিখোঁজের ৫ দিন পর মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামী শেখ শওকত (১৯) শনিবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জের  জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রবিউল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে। এর আগে গত ৪ঠা অক্টোবর ভোরে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ও ওসি (অপারেশন) কামরুজ্জামান বান্দরবন জেলার আর্মি পাড়া থেকে শওকতকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার ওসি (অপারেশন) কামরুজ্জামান  জানান, শওকত ইয়াবা ব্যবসার অগ্রিম হিসাবে তার প্রতিবেশী ও বন্ধু জাহিদুলকে ৮ হাজার টাকা প্রদান করে। টাকা নিয়ে ইয়াবা না দেয়ায় জাহিদুলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর সূত্র ধরে শওকত কৌশলে তার সহযোগিদের নিয়ে জাহিদুলের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে গা ঢাকা দেয়।

শওকত ওই এলাকার শেখ সিরাজের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, পূর্ব বাঘড়া এলাকার মৃত মল্লুক চাঁনের ছেলে ও শাহাবুদ্দিন মাস্টার হত্যা মামলার ৪ বছর সাজা ভোগকারী আসামি রুবেলের ভাই মো. জাহিদুল (১৯) গত ২১শে সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরদিন জাহিদুলের বোন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ২৫শে সেপ্টেম্বর সকালে স্থানীয়রা জাহিদুলের বাড়ি থেকে একটু দূরে লাশটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। লাশ উদ্ধারের ২ দিন পর শ্রীনগর থানার এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আসাদুজ্জামান জানান, হত্যাকাণ্ডে শওকত ছাড়াও তার আরও ২ সহযোগি অংশ নেয়। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।