হাওর বার্তাঃ দিল্লির জেসাস অ্যান্ড মেরি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী সিয়ানি। গত দেড় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খ্রিস্টান এই তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আবুধাবির এক ব্যবসায়ীর। সেখান থেকেই প্রেম।বাড়িতে জানাজানি হওয়ার পর বাবা-মা মেনে তো নেনইনি উল্টা দিল্লি থেকে কেরেলায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিলেন মেয়েকে। কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি হননি। ২০১৮ সালের ক্রিসমাসের পর আর বাড়ি যাননি এই তরুণী।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এরাপর বাবা-মা পুলিশের কাছে গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তারা কেরেলার কোঝিকোড় পুলিশকে জানান, তাদের ১৯ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। আবুধাবিতে কোনো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনে তাকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার সহপাঠীরাও বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
এরপরেই প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন খ্রিস্টান তরুণী সিয়ানি বেনি। গত রবিবার গলফ নিউজকে ওই তরুণী জানান, কেউ তাকে জোর করেনি। তিনি স্বেচ্ছায় আবুধাবি গিয়েছেন। ভালবাসার ডাকে সাড়া দিয়ে গিয়েছেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর এখন সিয়ানির নাম হয়েছে আইশা।তিনি বলেন, আমি ভারতের একজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক। আমার যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি। আমি যা করেছি স্বেচ্ছায় করেছি। ভালবাসার টানে করেছি। এর মধ্যে জোর জবরদস্তি নেই।
চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলের বিমানেই আবুধাবি উড়ে যান সিয়ানি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে নয় মাস আগেই বিয়ে সেরেছিলেন তিনি। তারপর ২৪ সেপ্টেম্বর আবুধাবির আদালতে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।সিয়ানি বলেন, আমি ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করব, যারা আমার সম্পর্কে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, কেরল এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।