যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কনিকা দাসকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন স্বামী প্রশান্ত দাস। রোববার সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১২টার দিকে কনিকা দাসকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কনিকা দাস (৩২) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত. নিতাই মল্লিকের মেয়ে ও খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা গ্রামের প্রশান্ত দাসের স্ত্রী। প্রশান্ত দাস মাগুরাঘোনা গ্রামের মৃনাল কান্তি দাসের ছেলে।
কনিকা দাসের ভাই বিশ্বজিত মল্লিক বলেন, ১৪ বছর আগে প্রশান্ত দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় কনিকার। বিয়ের সময় নগদ ৫৫ হাজার টাকা তাকে দেয়া হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে বোনকে মারপিট করে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা নেয়। কিছুদিন আগে ৩৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে দিয়েছি। তবুও নগদ টাকা চায় প্রশান্ত। নগদ টাকা দিতে না পারার কারণে সকালে বোনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে প্রশান্ত।
তিনি আরও বলেন, বোন কনিকার নয় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। মারপিট করে বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেও শিশু সুমন্ত দাসকে আসতে দেয়নি।
আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, প্রশান্ত দাস যৌতুকের জন্য এর আগেও একাধিকবার মারপিট করেছে কনিকাকে। এটা নিয়ে কয়েকবার শালিসি বৈঠক করেছি। তবুও সংশোধন হয়নি প্রশান্ত দাস। সে শুধু টাকা চায়। এ ব্যাপারে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
এ ঘটনায় খুলনার ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাটি থানায় কেউ জানায়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।