মা-ছেলের কাউকে ছাড়া হবে না : খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিদেশি প্রেসক্রিপশনে বিএনপি-জামায়াতের একটি অংশ দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে এসব জঙ্গি তৎপরতা চলছে। প্রতিটি ঘটনার জন্য মা-ছেলে দায়ী। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক ও বিটিভির চার কর্মকর্তা হত্যা দিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে কামরুল ইসলাম বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা খুব শিগগিরই শেষ হবে। এতে কি হবে সেটা খালেদা জিয়া বুঝতে পারছেন। তাই তিনি দেশে ফিরে আসবেন কি-না সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, তারেক রহমানের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা শেষ হবে। সেটা কি হবে তা তারেক রহমান ভালো করে বুঝতে পারছেন। এখানে গোয়েন্দা সংস্থা ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াতের একটি অংশ দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে সব তথ্য উঠে আসছে। খালেদা জিয়ার সংলাপের প্রস্তাব সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা যারা চালায়, তাদের সাথে কোনো আপস নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে লাভ হয় না। তাই এদের সাথেও কোনো সংলাপ বা আলোচনা নয়। আলাপ-আলোচনা হতে পারে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সাথে। তিনি বিএনপি-জামায়াতকে অশুভ শক্তি আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর চেষ্টা করছে। তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকে ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কারণে দোষারোপ করছি না। কোনো রাজনৈতিক দলকে ঘায়েল করার অভিপ্রায় সরকারের নেই। আমাদের অভিযান সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত যত ঘটনা ঘটেছে সব ঘটনার নাটের গুরু জিয়াউর রহমান। জিয়ার নির্দেশে ফারুক-রশিদ-ডালিম দেশে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমরা বিশ্বাস করি না। এটা ছিল সেনা অফিসার হত্যা দিবস। আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আক্তারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর