ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায়ে লসের সম্ভাবনা বেশি: অর্থমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৪১ বার

হাওর বার্তা  ডেস্কঃ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায়ের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের লসের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সমাধানের বাইরে আমরা অন্য কোনো পদ্ধতিতে যাব না। আমরা আশা করি, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি সমাধান হবে। আমরা এর জন্য আদালতে যাব না, নিজেরা বসেই সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করব। সমাধান অবশ্যই হবে। তারাও জিতবে, আমরাও জিতব, যোগ করেন মন্ত্রী।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত গ্রামীণফোন, রবি ও বিটিআরসির মধ্যে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর নিরীক্ষার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে গ্রামীণফোন ও রবি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বকেয়া সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, সেটি সমাধানে তারাও হারবে না, আমরাও হারব না। তারাও এ দেশে ব্যবসা করবে এবং আমাদের পাওনাও বুঝিয়ে দেবে। এ ক্ষেত্রে আমরাও তাদের সাহায্য করব।

তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে প্রতি বছর পাঁচ হাজার কোটি টাকা করে পাই। বকেয়া চার হাজার কোটি নিয়ে বিরোধ। তারা কিছু কিছু ব্যাপারে বিরোধ করছে। আমরা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি। বিটিআরসির ব্যাপারটি আট হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ভুল বোঝাবুঝির জন্য এ সমস্যা হয়েছে। আমরা দেখছি কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে সমস্যা সমাধান হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি প্রমুখ।

বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে ব্যান্ডউইথ সীমিত করা এবং প্যাকেজ ও সরঞ্জামের ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় এরপর ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টু-জি ও থ্রি-জি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের সময় ৩০ দিন।

চিঠির পর গ্রামীণফোন বরাবরের মতোই পদক্ষেপটিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রবি বলেছে, তারা সময়মতো চিঠির জবাব দেবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি সহজে সুরাহা হবে, এমন কোনো ইঙ্গিত বিটিআরসি ও দুই অপারেটরের কাছ থেকে মিলছে না।

বিটিআরসির চিঠির আগেই নিরীক্ষার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছে গ্রামীণফোন ও রবি। গত ২৫ আগস্ট রবি প্রথমে মামলা করে, পরের দিন মামলা করে গ্রামীণফোন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায়ে লসের সম্ভাবনা বেশি: অর্থমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১১:১৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা  ডেস্কঃ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির পাওনা আদায়ের বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের লসের সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু সমাধানের বাইরে আমরা অন্য কোনো পদ্ধতিতে যাব না। আমরা আশা করি, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি সমাধান হবে। আমরা এর জন্য আদালতে যাব না, নিজেরা বসেই সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করব। সমাধান অবশ্যই হবে। তারাও জিতবে, আমরাও জিতব, যোগ করেন মন্ত্রী।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত গ্রামীণফোন, রবি ও বিটিআরসির মধ্যে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর নিরীক্ষার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে গ্রামীণফোন ও রবি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বকেয়া সংক্রান্ত যে সমস্যা রয়েছে, সেটি সমাধানে তারাও হারবে না, আমরাও হারব না। তারাও এ দেশে ব্যবসা করবে এবং আমাদের পাওনাও বুঝিয়ে দেবে। এ ক্ষেত্রে আমরাও তাদের সাহায্য করব।

তিনি বলেন, তাদের কাছ থেকে প্রতি বছর পাঁচ হাজার কোটি টাকা করে পাই। বকেয়া চার হাজার কোটি নিয়ে বিরোধ। তারা কিছু কিছু ব্যাপারে বিরোধ করছে। আমরা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছি। বিটিআরসির ব্যাপারটি আট হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ভুল বোঝাবুঝির জন্য এ সমস্যা হয়েছে। আমরা দেখছি কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে সমস্যা সমাধান হবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি প্রমুখ।

বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে প্রতিষ্ঠানটির পাওনা ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা আদায়ে ব্যান্ডউইথ সীমিত করা এবং প্যাকেজ ও সরঞ্জামের ছাড়পত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল বিটিআরসি। তাতে কোনো কাজ না হওয়ায় এরপর ৫ সেপ্টেম্বর দুই অপারেটরকে লাইসেন্স (টু-জি ও থ্রি-জি) বাতিল কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। জবাবের সময় ৩০ দিন।

চিঠির পর গ্রামীণফোন বরাবরের মতোই পদক্ষেপটিকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রবি বলেছে, তারা সময়মতো চিঠির জবাব দেবে। সব মিলিয়ে বিষয়টি সহজে সুরাহা হবে, এমন কোনো ইঙ্গিত বিটিআরসি ও দুই অপারেটরের কাছ থেকে মিলছে না।

বিটিআরসির চিঠির আগেই নিরীক্ষার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলা করেছে গ্রামীণফোন ও রবি। গত ২৫ আগস্ট রবি প্রথমে মামলা করে, পরের দিন মামলা করে গ্রামীণফোন।