ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের রফতানি মূল্য তিনগুণ করল ভারত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৫৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় রফতানিতে লাগাম টেনে ধরেছে ভারত। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। পেঁয়াজ রফতানিতে আবারও ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা।

শুক্রবার বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তারা জানান, এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৮৫০ ডলারের কমে রফতানি করা যাবে না।

বাংলাদেশের আমদানিকারকরা জানান, গত বছর ফেব্রুয়ারির পর ভারতীয় পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্যের ওই বাধ্যবাধকতা ছিল না। গত সপ্তাহেও তারা প্রতি টন ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে আমদানি করেছেন। এখন ভারত ন্যূনতম রফতানি মূল্য বেঁধে দেয়ায় তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হবে। তবে ঢাকার পাইকাররা জানান, এখন ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসে।

এর সঙ্গে দেশের উৎপাদন মিলিয়ে ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি মারাত্মক হওয়ার কথা নয়। চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে পেঁয়াজের উৎপাদন বড় ধাক্কা খেয়েছে।

ফলে পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে কিছু দিন ধরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লি আর কলকাতার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ২০ থেকে ৩০ রুপি ছিল। আর ঢাকার বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা স্থলবন্দর কাস্টমসের হাতে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে নতুন দামে এলসি খুলতে হবে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, শুক্রবার আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। শনিবার প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০০ ডলারে আনা হয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আভাস দিচ্ছিলেন এ দাম দু-এক দিনের মধ্যে ৪০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ভারত সরকার বাড়িয়ে দিল তার চেয়েও অনেক বেশি। ফলে সামনের সপ্তাহে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন মোস্তাক।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পেঁয়াজের রফতানি মূল্য তিনগুণ করল ভারত

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় রফতানিতে লাগাম টেনে ধরেছে ভারত। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। পেঁয়াজ রফতানিতে আবারও ন্যূনতম দাম ঠিক করে দিয়েছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা।

শুক্রবার বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তারা জানান, এখন থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৮৫০ ডলারের কমে রফতানি করা যাবে না।

বাংলাদেশের আমদানিকারকরা জানান, গত বছর ফেব্রুয়ারির পর ভারতীয় পেঁয়াজের ন্যূনতম রফতানি মূল্যের ওই বাধ্যবাধকতা ছিল না। গত সপ্তাহেও তারা প্রতি টন ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে আমদানি করেছেন। এখন ভারত ন্যূনতম রফতানি মূল্য বেঁধে দেয়ায় তা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হবে। তবে ঢাকার পাইকাররা জানান, এখন ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আসে।

এর সঙ্গে দেশের উৎপাদন মিলিয়ে ঘাটতি খুব বেশি হবে না। ফলে খুচরা বাজারে দাম কিছুটা বাড়লেও পরিস্থিতি মারাত্মক হওয়ার কথা নয়। চলতি বছর বন্যার কারণে ভারতের মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে পেঁয়াজের উৎপাদন বড় ধাক্কা খেয়েছে।

ফলে পেঁয়াজের পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে কিছু দিন ধরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দিল্লি আর কলকাতার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ রুপিতে। যা দুই সপ্তাহ আগেও ২০ থেকে ৩০ রুপি ছিল। আর ঢাকার বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা স্থলবন্দর কাস্টমসের হাতে পৌঁছেছে। শনিবার থেকে নতুন দামে এলসি খুলতে হবে বাংলাদেশের আমদানিকারকদের।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাক বলেন, শুক্রবার আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। শনিবার প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০০ ডলারে আনা হয়েছে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আভাস দিচ্ছিলেন এ দাম দু-এক দিনের মধ্যে ৪০০ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ভারত সরকার বাড়িয়ে দিল তার চেয়েও অনেক বেশি। ফলে সামনের সপ্তাহে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন মোস্তাক।