হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ মাসেই শুনতে হয়েছিল প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ। এখনও জানতে ইচ্ছে করে ক্যারিয়ারের শীর্ষে থেকেই সে কেন লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেল? জানি, এই প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যাবে।
কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমি।
মৌসুমি বলেন, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই দিনে জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। কষ্ট বুকে চেপেই চলচ্চিত্রের এ যুবরাজকে বিদায় জানাতে হয়েছিল সেদিন। কিন্তু কখনও তাকে ভুলে যাইনি। প্রিয় বন্ধুকে ভুলে থাকা সম্ভবও নয়।
তিনি বলেন, মাত্র চার বছরের অভিনয় জীবনে সালমান জয় করেছিল কোটি ভক্তের হৃদয়। কেন লাখো ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেল সালমান? জানি, এই প্রশ্নের উত্তর অজানাই থেকে যাবে।
তিনি বলেন, কল্পনায় এখনও তার সঙ্গে দেখা হয়। জানি, আমার মতো সালমান শাহ ভক্তরাও তার দেখা পান- স্বপ্ন আর কল্পনায়।
১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষেক হয় সালমান শাহর। মাত্র চার বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ২৭টি চলচ্চিত্রে।
অল্প সময়ের জন্য পৃথিবীতে তার আগমন। খুব কম সময়ের মধ্যে অভিনয় দিয়ে কোটি ভক্তের হৃদয় জয় করেছিলেন। তিনি ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের বাসা থেকে শাহরিয়ার চৌধুরী ইমনের ওরফে সালমান শাহর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই সময় সালমানের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যু মামলা করেন।
পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের আবেদন করা হয়।
কমরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই মামলা চালাচ্ছেন। পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জনকে ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়।