ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

জাকির নায়েককে ফেরত পাঠাতে মাহাথিরকে অনুরোধ করলেন মোদী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্ক ঃ ‘ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্যে’র ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে জাকির নায়েকের এরকম অবস্থায় ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জাকির নায়েককে প্রত্যর্পণ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে আলাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তার পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, মালয়েশিয়া থেকে জাকিরের প্রত্যপর্ণের বিষয়ে ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়, দু’দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে যোগাযোগের মধ্যে থাকবেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ায় সর্ব-পূর্বের শহর ভ্লাদিভস্তকে পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামের এক সম্মেলনের ফাঁকে মাহাথিরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাকির নায়েকের বিষয়টি তোলেন মোদী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পররাষ্ট্র সচিব বিস্তারিত খোলাসা না করলেও একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদী বিষয়টি উত্থাপনের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। যেহেতু এ ধরনের বিষয় শীর্ষ নেতৃত্বের (প্রধানমন্ত্রী) মাধ্যমে সুরাহা হতে পারে না, সেজন্য কীভাবে জাকির নায়েককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, এ ব্যাপারে দু’দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, সন্ত্রাসীদের একজন জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনতো এবং তার বক্তৃতা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উস্কানিদাতা। তারপর থেকেই ভারতীয় সরকারের ‘জালে’ চলে আসেন জাকির নায়েক। বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পিস টিভি ও পিস স্কুলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় তার সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ)।

এতো ঘটনার সময় সৌদিতে ছিলেন জাকির নায়েক। চতুর্মুখী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এ বক্তা জানিয়ে দেন, ভারতে ফিরছেন না তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে মামলায় পরোয়ানা জারি হয়। একাধিক দেশ হয়ে জাকির পরে মালয়েশিয়ায় চলে যান।

মাহাথিরের আগের নাজিব রাজাক সরকার জাকির নায়েককে আশ্রয় দিলেও এখন মালয়েশিয়ায়ই নানামুখী বাধার মুখে পড়ছেন তিনি। ‘ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্যে’র উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে কোনো অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতা সম্প্রতি নিষিদ্ধ করে দেয় মাহাথির মোহাম্মদের সরকার। এমনকি তাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতেও রেখেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এর আগে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, ভারতে জাকির নায়েকের প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ তিনি শুনবেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতুমীর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে এক সপ্তাহে কমিটি গঠন

জাকির নায়েককে ফেরত পাঠাতে মাহাথিরকে অনুরোধ করলেন মোদী

আপডেট টাইম : ০৩:১৩:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্ক ঃ ‘ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্যে’র ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে জাকির নায়েকের এরকম অবস্থায় ২০১৭ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত জাকির নায়েককে প্রত্যর্পণ নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে আলাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তার পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, মালয়েশিয়া থেকে জাকিরের প্রত্যপর্ণের বিষয়ে ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়, দু’দেশের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে যোগাযোগের মধ্যে থাকবেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ায় সর্ব-পূর্বের শহর ভ্লাদিভস্তকে পূর্বাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক ফোরামের এক সম্মেলনের ফাঁকে মাহাথিরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জাকির নায়েকের বিষয়টি তোলেন মোদী।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, পররাষ্ট্র সচিব বিস্তারিত খোলাসা না করলেও একটি সূত্র জানিয়েছে, মোদী বিষয়টি উত্থাপনের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। যেহেতু এ ধরনের বিষয় শীর্ষ নেতৃত্বের (প্রধানমন্ত্রী) মাধ্যমে সুরাহা হতে পারে না, সেজন্য কীভাবে জাকির নায়েককে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা যায়, এ ব্যাপারে দু’দেশের কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ সরকারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, সন্ত্রাসীদের একজন জাকির নায়েকের বক্তৃতা শুনতো এবং তার বক্তৃতা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের উস্কানিদাতা। তারপর থেকেই ভারতীয় সরকারের ‘জালে’ চলে আসেন জাকির নায়েক। বন্ধ করে দেওয়া হয় তার পিস টিভি ও পিস স্কুলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় তার সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (আইআরএফ)।

এতো ঘটনার সময় সৌদিতে ছিলেন জাকির নায়েক। চতুর্মুখী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এ বক্তা জানিয়ে দেন, ভারতে ফিরছেন না তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে মামলায় পরোয়ানা জারি হয়। একাধিক দেশ হয়ে জাকির পরে মালয়েশিয়ায় চলে যান।

মাহাথিরের আগের নাজিব রাজাক সরকার জাকির নায়েককে আশ্রয় দিলেও এখন মালয়েশিয়ায়ই নানামুখী বাধার মুখে পড়ছেন তিনি। ‘ধর্ম ও বর্ণ বৈষম্যে’র উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে কোনো অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতা সম্প্রতি নিষিদ্ধ করে দেয় মাহাথির মোহাম্মদের সরকার। এমনকি তাকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতেও রেখেছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

অবশ্য এর আগে মাহাথির মোহাম্মদ বলেছিলেন, ভারতে জাকির নায়েকের প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় তাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ তিনি শুনবেন না।