মিসবাহ-উল হককে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দলে সাবেক পাক অধিনায়কের দ্বৈত ভূমিকাটা ঠিক পছন্দ করতে পারছেন না ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। তার মতে, এর ফলে খেলোয়াড়রা কোচের সঙ্গে পুরোপুরি সৎ থাকতে পারবেন না
টুইটবার্তায় ভোগলে লেখেন, একজন খেলোয়াড় কখনই একই সঙ্গে কোচ ও প্রধান নির্বাচকের ভক্ত হতে পারেন না। খেলোয়াড়রা কোচের কাছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আসেন। যদি তারা মনে করেন, সমস্যা কোচ জানলে দল থেকে বাদ পড়বেন, তা হলে কখনই কোচের সঙ্গে সৎ থাকতে পারবেন না।
বিখ্যাত ধারাভাষ্যকার মনে করেন, এক ব্যক্তি একই সঙ্গে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক হিসেবে কাজ করলে খেলোয়াড়রা নিজেদের অনেক সমস্যাই কোচের কাছে গোপন করবেন। এতে দলে সমস্যা তৈরি হবে তা বলা বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, অনেক সময় কোচের কাছে নিজেদের গোপন সমস্যা তুলে ধরে সমাধান চান খেলোয়াড়রা। কোচ নিজের মতো করে সমস্যার সমাধান দেন। দলের অভ্যন্তরে আলোচনা হয় এ রকম অনেক বিষয় আছে, যেগুলো নির্বাচকরা জানেন না।
সেসব বিষয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে মনে করেন তারা। আবার ক্রিকেটারদের অনেক সমস্যার সমাধান দেন নির্বাচকমণ্ডলীও। স্বভাবতই দুই পদের লোকজনের মধ্যে দূরত্ব থাকে। মিসবাহ দুই গুরুদায়িত্ব পাওয়ায় সেটি থাকবে না। স্বভাবতই সমস্যায় পড়বেন খেলোয়াড়রা।