বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। তাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা বড় বিষয় নয়। তাছাড়া দেশে নির্বাচনের পরিবেশও নেই।
নির্বাচন ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তারপরও আমরা রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।
রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, মনোনয়ন দেয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপির ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর হোসেনের কবর জিয়ারত করেন। রোববার রাতে তিনি মারা যান। ফখরুল পরে মোজাফফরের রংপুরের নিউ শালবনের বাসায় শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি সদ্যপ্রয়াত মোজাফফর সম্পর্কে ফখরুল বলেন, তিনি শুধু বিএনপি নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একাধারে ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক। তিনি ছিলেন রংপুরের আপামর জনগণের নেতা। তিনি ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষে আজীবন লড়াই করে গেছেন। তার অকাল মৃত্যুতে রংপুরবাসীরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু রংপুরবাসী তার কর্মকাণ্ডের মূল্যায়নের সুযোগ পেল না। তবে তিনি চিরদিন বিএনপি ও রংপুরের মানুষের কাছে স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ হিসেবে মূল্যায়িত হবেন।
এ সময় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফরের স্ত্রী সুফিয়া হোসেনকে আসন্ন রংপুর সদর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়। দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সাবেক এমপি সাহিদার রহমান জোসনা মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, কেন্দ্র থেকে সুফিয়া হোসেনকে মনোনয়ন দেয়া হলে তাদের আপত্তি নেই। তার এই বক্তব্যের প্রতি উপস্থিত নেতাকর্মীদের অনেকেই সমর্থন করেন।
এ সময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, রংপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, সহসভাপতি মিজানুর রহমান রন্টু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু, সালেকুজ্জামান সালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, মহানগর যুবদল সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, সহসভাপতি ফরহাদ হোসেন পিন্টু, জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান হিজবুল, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নেওয়াজ জোহা, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি নুর হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া ইসলাম জিম প্রমুখ।