ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছবি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৬৩ বার

দশমবারের মতো ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী উইকিপিডিয়ার আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস ২০১৯’ (ডব্লিউএলএম)। নির্দিষ্ট তালিকা থেকে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে।

ডব্লিউএলএম একটি আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা যা প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো স্ব-স্ব স্থাপনার ছবি নিয়ে অংশগ্রহণ করে।

২০১০ সালে নেদারল্যান্ডে প্রতিযোগিতাটি শুরু হলেও দ্রুত অন্যান্য দেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং ২০১২ সালে গিনেস বুকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮৬টি দেশের ২২ লাখ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জমা পড়ে। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছে উইকিপিডিয়া নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশী সংস্থা ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’।

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতান বলেন, ‌‘প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তালিকা থেকে যেকোন সময় তোলা যেকোন স্থাপনার ছবি যত খুশি আপলোড করা যাবে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণের বিস্তারিত জানা যাবে এই  ঠিকানায়।

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে প্রাপ্ত ১০টি করে আলোকচিত্র থেকে ১৫টি আলোকচিত্রকে আন্তর্জাতিক বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিকভাবে বিজয়ী প্রথম দশজনকে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়েও স্বতন্ত্রভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রতিযোগিতায় ১৪ হাজার আলোকচিত্রী ২ লাখ ৫৮ হাজার আলোকচিত্র জমা দিয়েছিলেন। ৫৬টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশের ৪টি আলোকচিত্র সেরা ১৫ তে স্থান করে নিয়েছিল। এ বছর প্রতিযোগিতাটি আয়োজনে আয়োজকদের সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ‘ইউনেস্কো’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগী সংস্থা ‘ইউরোপা নোস্ট্রা’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছবি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ

আপডেট টাইম : ১১:৪১:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দশমবারের মতো ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী উইকিপিডিয়ার আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘উইকি লাভস মনুমেন্টস ২০১৯’ (ডব্লিউএলএম)। নির্দিষ্ট তালিকা থেকে বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছবি নিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যাবে।

ডব্লিউএলএম একটি আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা যা প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো স্ব-স্ব স্থাপনার ছবি নিয়ে অংশগ্রহণ করে।

২০১০ সালে নেদারল্যান্ডে প্রতিযোগিতাটি শুরু হলেও দ্রুত অন্যান্য দেশে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে এবং ২০১২ সালে গিনেস বুকে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৮৬টি দেশের ২২ লাখ আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জমা পড়ে। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে আসছে উইকিপিডিয়া নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশী সংস্থা ‘উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ’।

উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতান বলেন, ‌‘প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের যে কেউ অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার তালিকা থেকে যেকোন সময় তোলা যেকোন স্থাপনার ছবি যত খুশি আপলোড করা যাবে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণের বিস্তারিত জানা যাবে এই  ঠিকানায়।

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ থেকে প্রাপ্ত ১০টি করে আলোকচিত্র থেকে ১৫টি আলোকচিত্রকে আন্তর্জাতিক বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। আন্তর্জাতিকভাবে বিজয়ী প্রথম দশজনকে বিভিন্ন পুরস্কার প্রদান করা হবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়েও স্বতন্ত্রভাবে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রতিযোগিতায় ১৪ হাজার আলোকচিত্রী ২ লাখ ৫৮ হাজার আলোকচিত্র জমা দিয়েছিলেন। ৫৬টি দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকায় বাংলাদেশের ৪টি আলোকচিত্র সেরা ১৫ তে স্থান করে নিয়েছিল। এ বছর প্রতিযোগিতাটি আয়োজনে আয়োজকদের সহযোগিতা করছে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ‘ইউনেস্কো’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগী সংস্থা ‘ইউরোপা নোস্ট্রা’।