অকালে চলে গেলেন কিংবদন্তি গিটারিস্ট ও ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। তাকে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই বাংলার সঙ্গীত জগতে। শোকাতর হয়ে পড়েছেন জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী নগর বাউলের জেমসও।
‘উন্নয়ন কনসার্ট’-এ অংশ নিতে জেমস বর্তমানে বরগুনায় অবস্থান করছেন। সেজন্য স্কয়ার হাসপাতালে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ দেখতে যেতে পারেননি এই শিল্পী।
তবে দূরে থেকেও অশ্রু ঝরিয়েছেন দর্শক-ভক্তদের সামনে। গান গাইতে মঞ্চে উঠে তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বরগুনা জেলা স্টেডিয়ামের এই কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই জেমস কনসার্টটি আইয়ুব বাচ্চুকে উৎসর্গ করেন।
অশ্রুসিক্ত নয়নে জেমস বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করছি বাংলাদেশের কিংবদন্তি গায়ক আইয়ুব বাচ্চুকে। আজকে অনুষ্ঠানটি করার একদমই ইচ্ছে ছিল না। কিন্তু বহু বছর আগের একটা গল্প বলি। আমি আর বাচ্চু ভাই একসঙ্গে আড্ডা মারতাম। তখন আমরা হাসতে হাসতে একদিন বললাম, আমাদের শিল্পীদের জন্য ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘ দ্যা শো মাস্ট গো অন’। তাই চেষ্টা করব…’।
কথাগুলো বলেই গিটারের তাল তুলে দু’চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু জড়ান জেমস। যা ধরা পড়ে টিভি পর্দায়।
১৯৮০ সালের দিকে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে জেমসের পরিচয়। এরপর প্রায় চার দশক ধরে তাদের সম্পর্ক ছিলো আত্মার।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাসায় আইয়ুব বাচ্চু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গীতাঙ্গনের সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা। হাসপাতালে দেখা গেছে ফকির আলমগীর, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, হানিফ সংকেত, পার্থ বড়ুয়া, বাপ্পা মজুমদার, ফাহমিদা নবী, কুমার বিশ্বজিৎ, কবির বকুল, এলিটা করিমসহ অনেককে।
সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুকে শনিবার (২০ অক্টোবর) তার চট্টগ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হবে। তার আগে শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।