শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে সমালোচনার পর শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানের ক্ষমতা খর্ব করে নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
মন্ত্রীকে না জানিয়ে কোনো আইন, বিধি, নীতিমালা ও বদলীর আদেশ প্রকাশ বা ওয়েবসাইটে দেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।
এই নির্দেশনা গত ২৬ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের উইং প্রধানদের দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
শিক্ষা আইনের খসড়ার ওপর মতামত নেওয়ার জন্য সম্প্রতি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়, যাতে প্রশ্ন ফাঁসের সাজার মেয়াদ রাখা হয় চার বছর।
সাজার মেয়াদ ‘কম’ থাকায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো পরিপত্র, নীতিমালা, আইন জারি, ওয়েবসাইটে প্রদর্শন এবং মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রাণাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অধিদপ্তর/দপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডসমূহে প্রথম শ্রেণির যে কোনো পদে পদায়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রী পর্যায়ে অনুমোদন গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সে মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে চলতি বছর একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়, অভিযোগ রয়েছে শিক্ষাসচিব একক সিদ্ধান্তে অনলাইনে ভর্তির সিদ্ধান্ত দেন।
ওই সময়ও শিক্ষামন্ত্রীকে না জানিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছিলেন মন্ত্রী।