ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ পাকিস্তানে ‘যুদ্ধবিরতি’তে শিয়া-সুন্নি গোষ্ঠী আন্দোলনে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার কোহলির প্রেমিকা আনুশকাকে অস্ট্রেলিয়া নিতে প্রথা ভেঙেছিল ভারতের বোর্ড মোল্লা কলেজে হামলা-সংঘর্ষ: ৩ শিক্ষার্থী নিহতের দাবি কর্তৃপক্ষের সংঘর্ষে না জড়িয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের মসজিদ ঘিরে উত্তেজনা উত্তর প্রদেশে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা, ইন্টারনেট ও স্কুল বন্ধ নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে: তারেক রহমান ভালো নির্বাচন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই: ইসি সানাউল্লাহ যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কি রাজনীতিতে আসছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ২০৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান ও ছোট বোন শেখ রেহানার তিন সন্তানই উচ্চ শিক্ষিত। রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কে হবেন? এ প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় দেশের জন্য কাজ করলেও তিনি ততোটা রাজনীতি ঘেঁষা নন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়ের অবদানের কথা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন। তার ভাষ্যে, ‘আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সব রকম পরামর্শ দিয়েছিলো।’

তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত দেশ গড়তে জয়ের কাছ থেকে সবসময় পরামর্শ নিয়ে থাকেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইদানীংকালে প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে সার্বক্ষণিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। দেশে-বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হতে দেখা যায় পুতুলকে। এর একটি কারণ হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর চক্ষু অপারেশন নিয়ে অসুস্থতার দেখভাল। আবার অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে হাতে-কলমে রাজনীতির অনেক বিষয় শেখাচ্ছেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত। তিনি বেশ ভালো বক্তাও। বিশেষ করে পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। সারাবিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামীর নাম খন্দকার মাশরুর হোসেন। তার তিন কন্যা এবং এক ছেলে।

স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সায়মা ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উপর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পুতুল ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির উপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের উপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণা কর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুতুলকে হু অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেয়ার মতো সব গুণ তার রয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকেই বলছেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যদি আওয়ামী লীগে সক্রিয় হয়ে মানুষের পাশে থাকেন, তাহলে তিনিও হতে পারেন দলটির কারি। সেটা সময়ই বলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই পুতুলের মতো মেধাবীকে মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে টানবেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে না যাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ

প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কি রাজনীতিতে আসছেন

আপডেট টাইম : ১০:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই সন্তান ও ছোট বোন শেখ রেহানার তিন সন্তানই উচ্চ শিক্ষিত। রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কে হবেন? এ প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় দেশের জন্য কাজ করলেও তিনি ততোটা রাজনীতি ঘেঁষা নন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়ের অবদানের কথা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলে থাকেন। তার ভাষ্যে, ‘আজকে যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। এই ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের কাছ থেকে শেখা। জয়ই আমাকে এ ব্যাপারে সব রকম পরামর্শ দিয়েছিলো।’

তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ উন্নত দেশ গড়তে জয়ের কাছ থেকে সবসময় পরামর্শ নিয়ে থাকেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইদানীংকালে প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে সার্বক্ষণিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যায়। দেশে-বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হতে দেখা যায় পুতুলকে। এর একটি কারণ হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর চক্ষু অপারেশন নিয়ে অসুস্থতার দেখভাল। আবার অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে হাতে-কলমে রাজনীতির অনেক বিষয় শেখাচ্ছেন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত। তিনি বেশ ভালো বক্তাও। বিশেষ করে পুতুল একজন প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ। সারাবিশ্বেই তিনি অটিস্টিক শিশুদের অধিকারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিশেষজ্ঞ প্যানেলের একজন সদস্য। তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত মনোবিজ্ঞানী। সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের স্বামীর নাম খন্দকার মাশরুর হোসেন। তার তিন কন্যা এবং এক ছেলে।

স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সায়মা ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি, ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উপর মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পুতুল ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির উপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি লাভ করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের উপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণা কর্ম ফ্লোরিডার একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃত হয়।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়বিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর কাজ শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তার কাজ বিশ্বজুড়ে প্রশংসা পেয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুতুলকে হু অ্যাক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে। মনস্তত্ত্ববিদ সায়মা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অটিজম স্পিকসের পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেন। তিনি ২০১৩ সালের জুন থেকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বিশেষজ্ঞ পরামর্শক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে ২০১১ সালে ঢাকায় প্রথমবারের মতো অটিজম বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃত্ব দেয়ার মতো সব গুণ তার রয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অনেকেই বলছেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল যদি আওয়ামী লীগে সক্রিয় হয়ে মানুষের পাশে থাকেন, তাহলে তিনিও হতে পারেন দলটির কারি। সেটা সময়ই বলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই পুতুলের মতো মেধাবীকে মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে টানবেন।