ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলা ও মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণরাও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৬৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জনপ্রিয় হয়েছে মাল্টা ও কমলা চাষ। অল্প শ্রম ও পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের পাশাপাশি কমলা ও মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণরাও। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহযোগিতায় পতিত জমি, বাড়ির ছাদে কমলা ও মাল্টা চাষ করে অনেকেই পেয়েছেন সফলতা।

উপজেলার দক্ষিণ ইউপির কালিনগর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় দুই বছর আগে পাওয়া মাল্টা ও কমলার চারা বাড়ির ছাদে লাগাই। এক বছরের মধ্যে ভালো ফলন পাই। প্রতিটি গাছে  ১০০-১৪০টি  মাল্টা ধরেছে। আশা করি, ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাল্টাগুলো পাকতে শুরু করবে।

মো. সালাম চৌধুরী বলেন, বারি-১ জাতের মাল্টা বাড়ির পাশে পতিত জমিতে চারা লাগিয়েছি। এরইমধ্যে পাঁচটি গাছে মাল্টা ও সাতটি গাছে কমলা ধরেছে। ফলন ভাল হওয়ায় আরো অনেকেই নিজেদের পতিত জমিতে মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে অনেকেই ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, সরকার সাইট্রাস ভিলেজ প্রজেক্টের আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে মাল্টা চারা বিতরণ করেছে। এছাড়া অনেক কৃষক ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মাল্টা-কমলা চাষ করছেন। এখানকার মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভাল হবে। কৃষকদের এ বিষয়ে সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলা ও মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণরাও

আপডেট টাইম : ০৬:১৫:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জনপ্রিয় হয়েছে মাল্টা ও কমলা চাষ। অল্প শ্রম ও পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় উপজেলার কৃষকদের পাশাপাশি কমলা ও মাল্টা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণরাও। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের সহযোগিতায় পতিত জমি, বাড়ির ছাদে কমলা ও মাল্টা চাষ করে অনেকেই পেয়েছেন সফলতা।

উপজেলার দক্ষিণ ইউপির কালিনগর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় দুই বছর আগে পাওয়া মাল্টা ও কমলার চারা বাড়ির ছাদে লাগাই। এক বছরের মধ্যে ভালো ফলন পাই। প্রতিটি গাছে  ১০০-১৪০টি  মাল্টা ধরেছে। আশা করি, ১৫-২০ দিনের মধ্যে মাল্টাগুলো পাকতে শুরু করবে।

মো. সালাম চৌধুরী বলেন, বারি-১ জাতের মাল্টা বাড়ির পাশে পতিত জমিতে চারা লাগিয়েছি। এরইমধ্যে পাঁচটি গাছে মাল্টা ও সাতটি গাছে কমলা ধরেছে। ফলন ভাল হওয়ায় আরো অনেকেই নিজেদের পতিত জমিতে মাল্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে অনেকেই ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, সরকার সাইট্রাস ভিলেজ প্রজেক্টের আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে মাল্টা চারা বিতরণ করেছে। এছাড়া অনেক কৃষক ব্যক্তিগত উদ্যোগেও মাল্টা-কমলা চাষ করছেন। এখানকার মাটি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলনও ভাল হবে। কৃষকদের এ বিষয়ে সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।