হাওর বার্তা ডেস্কঃ টকমিষ্টি ফল কামরাঙ্গা। ফল কাঁচা অবস্থায় দেখতে সবুজ এবং পাকলে হলুদ। এটি টক স্বাদযুক্ত বা টকমিষ্টি হতে পারে। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল পাওয়া যায়। কোনো কোনো গাছে একাধিকবার বা সারা বছরই ফল পাওয়া যায়। ভিটামিন এ ও সি এর ভালো উৎস এটি। এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভালো, যখন হলদেটে রঙ ধারণ করে। এর বাদামি কিনারাগুলো কিছুটা শক্ত এবং কষ ভাব যুক্ত। ফল পাকার ঠিক আগেই পাড়া হয় এবং ঘরে রাখলে হলুদ রঙ ধরে। পাকা কামরাঙ্গা অনেক সময় রান্না করেও খাওয়া হয়।
কামরাঙ্গার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
১. কামরাঙ্গায় প্রচুর পরিমাণে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা ত্বকের নানা সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন সি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দিয়ে দেহ সুস্থ রাখে।
২. এই ফল শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও এতে কিছু পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩. এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। বিকেলে ক্ষুধা নিবারণের জন্য কামরাঙ্গা ভালো খাবার হতে পারে। এর আঁশ উপাদানের জন্য খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে। যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আঁশযুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় বেশি খাওয়ার সুযোগ থাকে না।
৪. আঁশের উপস্থিতির কারণে এটি হজমক্রিয়ার উন্নতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি উপকারী ফল।
৫. ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কামরাঙ্গা খেতে পারেন। এতে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬. এই ফল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি চুলেরও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৭. কামরাঙ্গা শীতল ও টক। ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে। কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
সূত্র: এনডিটিভি