ইসলামিক স্টেটবিরোধী (আইএস) লড়াইয়ে সিরিয়ায় ৫০ জনের মতো সামরিক উপদেষ্টা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন। সিরিয়া সংকট নিরসনে ১৭ দেশের নেতাদের বড় পরিসরের বৈঠকের মধ্যেই এ ঘোষণা এলো। দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও বৈঠকে বসতে পারে এ দেশগুলো। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সিরিয়ার কুর্দি নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলে মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের ৫০ জনেরও কম সদস্যকে মোতায়েন করা হবে।আইএসবিরোধী লড়াইয়ে স্থানীয় আসাদবিরোধী বাহিনী ও মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের তৎপরতার সমন্বয় করবেন। সিরিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মতো মার্কিন বাহিনীর প্রকাশ্য তৎপরতা। সিরীয় গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি টানতে ১৭টি দেশ ও দুটি সংস্থা ভিয়েনার গ্র্যান্ড ইম্পেরিয়াল হোটেলে এ বৈঠক শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাশাপাশি সৌদি আরব ও ইরানও এ বৈঠকে অংশ নিয়েছে। এই প্রথম সিরীয় সংকট নিরসনের কোনো উদ্যোগে ইরানকে ডাকা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া ১৭টি দেশ হচ্ছে_ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, জার্মানি, ইরান, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইতালি, লেবানন, জর্ডান, ইরাক, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। পাশাপাশি জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) এতে অংশ নিয়েছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধান ও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ভূমিকার প্রশ্নে এ বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সিরিয়ার সরকার বা বিরোধী কোনো পক্ষকেই রাখা হয়নি।
বৈঠক শুরুর আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াস সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠক আয়োজন খুবই সময়োচিত হয়েছে। কেননা সিরীয় সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই প্রথম সব বড় শক্তিকে এখানে একত্র করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আইএস ও আল কায়দা সংশ্লিষ্ট আল নুসরা ফ্রন্টের সব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আমাদের আরও কার্যকরভাবে লড়তে হবে।’ ফ্যাবিয়াস বলেন, ‘সিরিয়ার ট্র্যাজেডির বড় অংশের জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদ দায়ী। তাকে দেশের ভবিষ্যৎ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না।’