ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যার স্বাক্ষ্যতে ফেঁসে যান মিন্নি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯
  • ২৪৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান সাক্ষী ও স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যদিও আদালতে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বলেছেন, স্বামী রিফাত হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। মূলত একটি জবানবন্দির কারণে রিফাত হত্যাকাণ্ডে ফেঁসে গেলেন মিন্নি। রিফাত হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়ের জবানবন্দিতে রিফাত হত্যার পরিকল্পনায় মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বুধবার আদালতকে জানান, ঘটনার আগের দিন (২৫ জুন) মিন্নি নয়ন বন্ডদের বাড়িতে গিয়ে এ হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেয়। এ হত্যাকাণ্ডের ৬ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ হত্যায় মিন্নির সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় মূল নায়ক নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে মিন্নি পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

হুমায়ুন কবির বলেন, ফুটেজে মিন্নি রিফাত শরীফকে রক্ষার যে চেষ্টা করে, সেখানে সে নয়নকে জাপটে ধরলেও তাকে (মিন্নি) কোনো আঘাত করেনি। এটি ছিল মিন্নির লোক দেখানো। ঘটনার আগের দিন এবং ঘটনার পূর্ব মুহূর্তে নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির মুঠোফোনের আলাপ-আলোচনা থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির ফোনালাপের তথ্যও পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের অনেকেই মিন্নিকে দায়ী করছেন। যদিও ‌’কিন্তু’ নামক সংশয় তাদের মধ্যে থেকেই গেছে। মারুফ নামে একজনের ভাষ্য, রিফাতকে যখন চারদিক থেকে এলোপাতাড়ি কোপানো হচ্ছিল, তখন জীবন ঝুকি নিয়ে চারদিকের কোপ ঠেকাচ্ছিলেন মিন্নি। ভিডিওটি দেখলে একবারও মনে হবে না, ‘‘স্বামীর গায়ে লাগা কোপ ঠেকাতে মিন্নির গাফিলতি ছিল। কারণ, যে কোন মুহুর্তে তারও বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারত। তারপরও যদি মিন্নিকে দায়ী করার চেষ্টা করা হয়, তবে তা হাস্যকর। আসলে সবকিছুই হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের ইশরায়। যেটা আমাদের মত সাধারণের অজানা।’’

মিন্নির বাবাও বলছেন, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। রিফাতকে বাঁচাতে সে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। যেটা দেশবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। তারপরও আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ আসামিরা প্রভাবশালীদের আত্মীয়-স্বজন। তাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রও রয়েছে। মূলত আসামিদের বাঁচানোর জন্য আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

যার স্বাক্ষ্যতে ফেঁসে যান মিন্নি

আপডেট টাইম : ০৩:০৪:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড মামলার প্রধান সাক্ষী ও স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যদিও আদালতে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বলেছেন, স্বামী রিফাত হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। মূলত একটি জবানবন্দির কারণে রিফাত হত্যাকাণ্ডে ফেঁসে গেলেন মিন্নি। রিফাত হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়ের জবানবন্দিতে রিফাত হত্যার পরিকল্পনায় মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বুধবার আদালতকে জানান, ঘটনার আগের দিন (২৫ জুন) মিন্নি নয়ন বন্ডদের বাড়িতে গিয়ে এ হত্যার পরিকল্পনায় অংশ নেয়। এ হত্যাকাণ্ডের ৬ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ হত্যায় মিন্নির সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় মূল নায়ক নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে মিন্নি পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।

হুমায়ুন কবির বলেন, ফুটেজে মিন্নি রিফাত শরীফকে রক্ষার যে চেষ্টা করে, সেখানে সে নয়নকে জাপটে ধরলেও তাকে (মিন্নি) কোনো আঘাত করেনি। এটি ছিল মিন্নির লোক দেখানো। ঘটনার আগের দিন এবং ঘটনার পূর্ব মুহূর্তে নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির মুঠোফোনের আলাপ-আলোচনা থেকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির ফোনালাপের তথ্যও পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের অনেকেই মিন্নিকে দায়ী করছেন। যদিও ‌’কিন্তু’ নামক সংশয় তাদের মধ্যে থেকেই গেছে। মারুফ নামে একজনের ভাষ্য, রিফাতকে যখন চারদিক থেকে এলোপাতাড়ি কোপানো হচ্ছিল, তখন জীবন ঝুকি নিয়ে চারদিকের কোপ ঠেকাচ্ছিলেন মিন্নি। ভিডিওটি দেখলে একবারও মনে হবে না, ‘‘স্বামীর গায়ে লাগা কোপ ঠেকাতে মিন্নির গাফিলতি ছিল। কারণ, যে কোন মুহুর্তে তারও বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারত। তারপরও যদি মিন্নিকে দায়ী করার চেষ্টা করা হয়, তবে তা হাস্যকর। আসলে সবকিছুই হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের ইশরায়। যেটা আমাদের মত সাধারণের অজানা।’’

মিন্নির বাবাও বলছেন, ‘আমার মেয়ে নির্দোষ। রিফাতকে বাঁচাতে সে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। যেটা দেশবাসী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। তারপরও আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ আসামিরা প্রভাবশালীদের আত্মীয়-স্বজন। তাদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগসূত্রও রয়েছে। মূলত আসামিদের বাঁচানোর জন্য আমার মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে।’