হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী একবছর ভোটের ব্যয়ে ৩১০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য। ইসির বাজেট শাখা সূত্রে জানা যায়, আগামী একবছরে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন পদে উপ-নির্বাচন, পৌরসভার উপ-নির্বাচন ও জেলা প্রশাসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আর সংসদের যেসব আসন শূন্য হবে যেসব আসনের উপ-নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মারা যাওয়ায় রংপুর-৩ আসন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রুশেমা বেগমের আসনটি শূন্য হয়েছে। এই দু’টি আসনের উপ-নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সব মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩১০ কোটি টাকা।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সবচেয়ে বেশি ব্যয় তিন সিটি নির্বাচনে। এজন্য ব্যয় রাখা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। তবে ১২০ কোটির টাকার মধ্যেই এ নির্বাচন হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তারা।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নির্বাচিত হন যথাক্রমে প্রয়াত আনিসুল হক, সাঈদ খোকন ও আজম নাছির উদ্দিন। তবে তারা একেকজন একেক দিন প্রথম সভা করায় সংশ্লিষ্ট করপোরেশনের মেয়াদও পূর্ণ হবে একেকদিন।
সে অনুসারে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৩ মে, দক্ষিণের মেয়াদ ১৬ মে আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই। সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করতে হয়। এক্ষেত্রে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এই তিন সিটি ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া ১৮ জুন সংরক্ষিত মহিলা আসনে উপ-নির্বাচন এবং রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন সেপ্টেম্বরে করতে চায় সংস্থাটি। আবার ৭ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মোট ২৭৪ পদে উপ-নির্বাচন এবং বিভিন্ন জেলা পরিষদের ২২ উপ-নির্বাচন আগামী ২৫ জুলাই সম্পন্ন করা হবে। এসব নির্বাচনের ব্যয়ও ওই ৩১০ কোটি টাকা থেকেই জোগান দেওয়া হবে।
ইসির বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক সাংবাদিককে বলেন, আমরা সরকারের কাছে চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন নির্বাচনের জন্য ৩২০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম। বরাদ্দ পেয়েছি ৩১০ কোটি। এর মধ্যে বড় দাগে ব্যয় হবে তিন সিটি নির্বাচনে। ১৫০ কোটি টাকা সর্বোচ্চ ব্যয় ধরে নিয়ে আমার হিসেব করেছি। আর বাকি টাকা অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচন ও সংসদের উপ-নির্বাচনে ব্যয় করা হবে।
‘তবে নির্বাচনে এর চেয়ে আরেকটু বেশি হবে। কেননা, এর সঙ্গে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যয় যোগ হবে। সেটার জন্য পৃথক প্রকল্প রয়েছে। সেখান থেকে কিছু ব্যয় হবে ও থোক বরাদ্দ থেকেও কিছু ব্যয় হবে।’
এদিকে দেড় লাখ ইভিএম কেনার জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ইসি। এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, আগামীতে সব নির্বাচনেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।