বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সব থেকে বড় প্রতিপক্ষ ‘কুখ্যাত’ আলিম দার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পৃথিবীর অন্য সকল দেশে পাকিস্তানের আম্পায়ার আলিম দার জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশি ভক্তদের কাছে তিনি ‘কুখ্যাত’ আম্পায়ার হিসেবে পরিচিত।পাকিস্তানের এই আম্পায়ার বাংলাদেশের কোনো ম্যাচে যুক্ত হলেই বারংবার ভুল সিদ্ধান্ত দিতে থাকেন। ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের সেই মহা বিতর্কিত কাণ্ডের পর এবারের বিশ্বকাপে আলিম দারের বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ।

লিটন দাসকে সোমবার (২৪ জুন) সাউদাম্পটনে থার্ড আম্পায়ারের মাধ্যমে যেভাবে আউট দেওয়া হয়েছে, তা রীতিমতো প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চলমান ম্যাচটির টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আলিম দার।

২০১৫ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচটা এখনও ভুলে যাননি ক্রিকেটপ্রেমীরা। প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ দারুণ খেলছিল ভারতের বিপক্ষে। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচের আম্পায়ার ছিলেন পাকিস্তানের আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ড। রুবেল হোসেনের একটি ফুলটস বল রোহিত শর্মার কোমরের নীচে থাকলেও, লেগ আম্পায়ার আলিম দারের পরামর্শে ‘নো বল’ ডাকেন ইয়ান গোল্ড! এ নিয়ে তুলকালাম হয়ে যায় ক্রিকেটবিশ্বে! খোদ ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান।

ওই ম্যাচে এই দুই আম্পায়ার একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের চক্ষুশূল হয়ে যান। সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় টাইগারদের। চার বছর পর আরও এক বিশ্বকাপে আবারও সেমিফাইনালের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে আজকের ম্যাচে টাইগারদের জিততেই হবে। এমন ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে আবারও আলিম দারের অপকর্ম! এদিন তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে ভালো কিছুর জানান দিচ্ছিলেন এই তরুণ।

ঠিক তখনই ছন্দপতন। মুজিব-উর-রহমানের বলে শর্ট কাভার থেকে ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা। এক্ষেত্রে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন! বিশ্বকাপ এলেই কেন বাংলাদেশের শত্রু হয়ে যান এই পাকিস্তানি আম্পায়ার তা সত্যিই গবেষণার বিষয়।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার রোববারের ম্যাচেই আলোচনার খোরাক জুগিয়েছিল আম্পায়ারদের ‘সফট সিগন্যাল’। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেও এবার আলোচনার কেন্দ্রে এই সফট সিগন্যাল। বিতর্কিত এ সিদ্ধান্তের বলি হয়েই যে ফিরে যেতে হলো লিটনকে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ থাকলে থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হবেন মাঠের আম্পায়াররা, কিন্তু তার আগে নিজেদের মতামত জানাবেন সফট সিগন্যালের মাধ্যমে। থার্ড আম্পায়ার যদি রিপ্লে দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেন যে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল, কেবল তখনই তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। কিন্তু যদি থার্ড আম্পায়ার পুরোপুরি নিশ্চিত হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে মাঠের আম্পায়ারদের দেওয়া সফট সিগন্যালের সিদ্ধান্তই বহাল থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর