ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুন্দরী তরুণীদের স্তন কেটে বিক্রি করতাম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯
  • ২৭২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন শহরে ঘুরে সুন্দরী তরুণী খুঁজে বের করে তাদের ধরে স্তন কাটতাম। তারপর সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতাম।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করল এক কুখ্যাত অপরাধী। নাইরোবির অপরাধীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব।

দিন কয়েক আগে কেটিএন নিউজ কেনিয়া চ্যানেলে বোনিফেস কিমানিয়ানো নামের ওই ব্যক্তি বলে, সুন্দরী তরুণীদের স্তন কেটে বিক্রি করত সে। প্রায় দু’ বছর ধরে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছে।

তার কথায়, একাজ একা নয়, দলবদ্ধভাবে করা হত। মূলত যৌনকর্মীদেরই টার্গেট করত তারা। নাইরোবির কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকাতেই বেশি প্রতিপত্তি ঘটেছিল তাদের। তবে অপকর্মের শিকড় বহুদূর বিস্তৃত ছিল।

কিমানিয়ানো জানায়, তার দল প্রথমে কোনও যৌনকর্মীকে কথাবার্তায় ফাঁসিয়ে ফেলত। পাতা ফাঁদে পা দিলেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত কোনও গোপন এলাকায়। এরপর ফ্লেক্সর নামক এক রাসায়নিকের মাধ্যমে তাঁকে অচেতন করে দেয়া হত। সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু এর অতিরিক্ত প্রয়োগেই জ্ঞান হারাতেন যৌনকর্মীরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাঁদের স্তন কেটে ফেলত কিমানিয়ানো এবং তার সঙ্গীরা।

স্তনের বিনিময়ে মিলত ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং। যে স্তনের আকার যত বড়, তার মূল্য তত বেশি। তবে এ কাজ তারা নিজেরা করত না। তাদের দিয়ে করানো হত বলেই দাবি অপরাধীর।

তিন মহিলার স্তন কাটার পর বিবেকে ধাক্কা লাগে কিমানিয়ানোর। তারপরই এমন ঘৃণ্য অপরাধে ইতি টানে সে। মাদকের ঘোরেই এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত বলেও জানিয়েছে সে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সুন্দরী তরুণীদের স্তন কেটে বিক্রি করতাম

আপডেট টাইম : ০৫:০০:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিভিন্ন শহরে ঘুরে সুন্দরী তরুণী খুঁজে বের করে তাদের ধরে স্তন কাটতাম। তারপর সেগুলো বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতাম।” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি করল এক কুখ্যাত অপরাধী। নাইরোবির অপরাধীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব।

দিন কয়েক আগে কেটিএন নিউজ কেনিয়া চ্যানেলে বোনিফেস কিমানিয়ানো নামের ওই ব্যক্তি বলে, সুন্দরী তরুণীদের স্তন কেটে বিক্রি করত সে। প্রায় দু’ বছর ধরে এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়ে গিয়েছে।

তার কথায়, একাজ একা নয়, দলবদ্ধভাবে করা হত। মূলত যৌনকর্মীদেরই টার্গেট করত তারা। নাইরোবির কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকাতেই বেশি প্রতিপত্তি ঘটেছিল তাদের। তবে অপকর্মের শিকড় বহুদূর বিস্তৃত ছিল।

কিমানিয়ানো জানায়, তার দল প্রথমে কোনও যৌনকর্মীকে কথাবার্তায় ফাঁসিয়ে ফেলত। পাতা ফাঁদে পা দিলেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হত কোনও গোপন এলাকায়। এরপর ফ্লেক্সর নামক এক রাসায়নিকের মাধ্যমে তাঁকে অচেতন করে দেয়া হত। সাধারণত ব্যথা উপশমের জন্য এই রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়।

কিন্তু এর অতিরিক্ত প্রয়োগেই জ্ঞান হারাতেন যৌনকর্মীরা। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই তাঁদের স্তন কেটে ফেলত কিমানিয়ানো এবং তার সঙ্গীরা।

স্তনের বিনিময়ে মিলত ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং। যে স্তনের আকার যত বড়, তার মূল্য তত বেশি। তবে এ কাজ তারা নিজেরা করত না। তাদের দিয়ে করানো হত বলেই দাবি অপরাধীর।

তিন মহিলার স্তন কাটার পর বিবেকে ধাক্কা লাগে কিমানিয়ানোর। তারপরই এমন ঘৃণ্য অপরাধে ইতি টানে সে। মাদকের ঘোরেই এমন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ত বলেও জানিয়েছে সে।