ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৩ বার শ্রেষ্ঠ উপ-কমিশনার ডিসি বিপ্লব সরকারকে বদলি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জনসাধারণ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯
  • ৩০০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর রেকর্ড সংখ্যক ২৩ বার শ্রেষ্ঠ উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে পুরস্কৃত তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম কে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলি করা হয়। বদলির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জনবান্ধব ও জনপ্রিয় এই কর্মকর্তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের আকুতি জানিয়েছেন জনসাধারণ। এমনকি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সেসব প্রতিক্রিয়ায় তারা বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম(বার), পিপিএম এর কর্মতৎরতা উল্লেখসহ তাকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)হিসেবে বহাল রাখার আকুতি ও দাবি জানিয়েছেন।

একজন লিখেছেন, ‘এই গরীব দেশে আমার মতো লক্ষ লক্ষ বিপ্লব সরকার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। সরকার আমাকে গাড়ি, ড্রাইভার, বডিগার্ড দিয়েছে। আমার মতো সামান্য বিপ্লব সরকারের পেছনে এ রাষ্ট্রের অনেক ইনভেস্টমেন্ট। এই রাষ্ট্রের সেবায় আমার তো সবটুকুই দেওয়া উচিত’
এই উক্তিটি যার, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। হ্যাঁ, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। শত অভিযোগে পর্যুদস্ত পুলিশ বিভাগে তিনি ব্যতিক্রম একজন। কর্মক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সার্বজনীন। হয়ে উঠেছিলেন নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের প্রতীক। হ্যাঁ, ২১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারের কথা বলছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালাচনা সভায় রেকর্ড ২৩ বার শ্রেষ্ঠ ডিসি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গনভবন, মহান জাতীয় সংসদ ভবনসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন ও স্পর্শকাতর স্হাপনা যে তেজগাঁও বিভাগে, সেই বিভাগের তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও হাতিরঝিল থানা এলাকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপত্তার চাদরে আবদ্ধ করে রেখেছেন যিনি, তার নাম বিপ্লব কুমার সরকার।

শুধু কি তেজগাঁও বিভাগের ৬ টি থানার অধিবাসীরাই সেবা পেয়েছেন তার কাছে? কে সেবা পায় নি তাঁর কাছে?
তার অফিসিয়াল ০১৭১৩৩৭৩১৭৫ মোবাইল নম্বরে ফোন করে শত শত নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় মানুষ পেয়েছে ন্যায় বিচার। যে কোন অভিযোগ তার কানে পৌঁছামাত্রই সংশ্লিষ্ট ওসি/এসি/ এডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় ফেরা নিষেধ। তেজগাঁও বিভাগের অফিসিয়াল DC Tejgaon – DMP ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের/ তাদের পরিবারের সমস্যা সমাধান করেছেন তিনি।

একটা ফোন কল বা মেসেজেই। ন্যায় বিচারের প্রশ্নে কর্মস্থলের সীমাবদ্ধতাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন অসহায়, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন এই নির্লোভ মানুষটি। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সর্বপ্রকার ক্রিমিনালদের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন মূর্তিমান আতংক।

শুধুই কি মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ বা ক্রিমিনালদের জন্য যমদূত ছিলেন তিনি? তার অধীনস্ত পুলিশকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেন নি তিনি। যখনই শুনেছেন পুলিশ কতৃক জনহয়রানির খবর, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন। মামলাও হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বিপ্লব কুমার সরকার বাংলাদেশ পুলিশের সেই অমিত সাহসী কর্মকর্তা, যিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ সভায় আইজিপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা করেছিলেন, ‘রেঞ্জ ডিআইজিরা ওসি পদায়নে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন। আবার পুলিশ সুপাররা এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদায়নে ঘুষ নেন। ফলে এ ঘুষের টাকা উঠাতে গিয়ে ওসি থেকে শুরু করে নিচের পদের সদস্যরা মাদক বাণিজ্যসহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডে যুক্ত হন। ফলে মাদকবাণিজ্য বন্ধ করা যায় না। মাদক বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে ওসি থেকে নিম্নপদে কর্মরতদের পদায়নে ঘুষ লেনদেন বন্ধ করতে হবে।’ একজন সরকারী কর্মকর্তা কতোটুকু সৎ ও আত্মবিশ্বাসী হলে এমন কথা বলতে পারেন! তাও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সব ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে!

এমনই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ‘ছিলেন’ বলছি এই কারণে যে, দেশ ও জনগনের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে যে আত্মতৃপ্তি ছিল তার, সেটা কি এখনো আছে? নাকি মরে গেছে?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পোস্টিং অর্ডার দেখে অনেকের মতো আমিও ব্যথিত হয়েছি। যে অর্ডারে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএমকে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, সততা, পরোপকারিতা, জনসাধারণের অভিযোগ অনুযোগে পজিটিভ কুইক রেসপন্স ও আত্মনিবেদনের কারণে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী। বিশেষ করে তরুণ সমাজে তিনি একজন রোল মডেল।

জঙ্গীবাদ দমনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যে ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম সংগ্রহ কর্মসূচী, এই ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম সংগ্রহ পদ্ধতি প্রথম চালু করেছেন বিপ্লব কুমার সরকার। তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর থানায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। যা পরে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা ও মেট্রোপলিটনেও চালু হয়েছে।

পুলিশিংয়ে নতুন ধারার প্রবর্তক এই কর্মকর্তার ঈর্ষণীয় সাফল্য ও তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তায় অনেকেই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছিল। যাদের রোষানলে পুড়ে তাকে হয়তো চলে যেতে হবে পুলিশের মেইন স্ট্রীম থেকে দূরে। রংপুর জেলায়।

‘আমরা চাই না একটি শিশু রাস্তায় বেড়ে উঠুক’-এই মনোবাসনা হৃদয়ে ধারণ করে সুবিধা বঞ্চিত, অনাথ ও পথশিশুদের সুশিক্ষা, আবাসন ও উন্নত জীবন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত চারটি স্কুলের সাথে তিনি জড়িত বলে জানতে পারলাম। তার তত্ত্বাবধানে একদল স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারের উচ্ছিষ্ট খাবার সংগ্রহ করে এসব শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে।

প্রত্যেক মাসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে প্রত্যেক শিশু ও তার পরিবারকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিশুদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ এবং উৎসবে পোশাক বিতরণও করা হয়। এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি তদারকি ও এলাকার অধিবাসীদের সেবায় সকাল ০৯.৩০ ঘটিকা থেকে রাত ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত তিনি অফিস ও অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় থাকেন বলে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পারলাম। অত্যধিক পরিশ্রমের কারনে তিনি অসুস্থও থাকেন প্রায়ই। যে কারনে নিয়মিত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয় তাকে। তাকে এই মূহূর্তে ঢাকার বাইরে পাঠানো কি খুব জরুরী?

বিপ্লব কুমার সরকার শুধুই একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি হাজার হাজার তরুণের রোল মডেল। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সততা, পরোপকারিতা, বিচক্ষণতা, দূর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাবের যে দৃষ্টান্ত তিনি স্হাপন করেছেন, তা দেখে যে হাজার হাজার স্বপ্নবাজ তরুন অনুপ্রানিত, তার এই পোস্টিং অর্ডার দেখে তারা কি ডিমোরালাইজড হবে না এতোটুকুও?

আমরা তো অনেক কিছুই ভাইরাল করি। অল্পতেই দূর্বার আন্দোলন শুরু করি সোস্যাল মিডিয়ায়।

আসুন একজন সৎ, নীতিবান, পরোপকারী, দেশপ্রেমিক ও জনগনের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মহান। আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আরেকজন লিখেছেন, বিপ্লব সরকার যাকে বাংলাদেশ পুলিশ তথা রাষ্ট্রের অন্যতম গর্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায় কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে দেখা যায় যে, রংপুর জেলায় তেজগাঁওয়ের ডিসি বিপ্লব সরকার কে বদলির নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবাদিক মহলের অনেকেই কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। শুধু সাংবাদিক মহলই নয়, তেজগাঁও বিভাগসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্তরের গণমানুষ এ বদলির আদেশ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

ডিসি বিপ্লব সরকার তার ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সাংবাদিক মহলের দৃষ্টিতে দেখা ডিসি বিপ্লবের কাছে সমাজের যারাই এসেছেন, তারা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন হয়তো কাউকে তার নিজের মেধা-বুদ্ধি খাটিয়ে নয়তো যতটুকু সম্ভব আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে। কেউ কখনো তার কাছ থেকে নিরাশ হয়ে যাননি। ছোট বড় সকলেই তার সহযোগিতা পেয়েছেন। শুধু রাজধানীবাসী নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তার সহযোগিতা পেয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু পাগল এই মানুষটি জাতির জনকের স্বপ্ন তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে মনে প্রাণে লালন করেন ও সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশ এর সুনাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন এমন কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম বললে যার নাম প্রথমসারিতে চলে আসে তিনি হলেন ডিএমপির তেজগাঁও এর ডিসি বিপ্লব সরকার। তিনি এই অঞ্চলের মানুষের স্বার্থে নানা ধরনের উন্নয়নমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন যা দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছে বারবার।

জনসমাজে তিনি যে তার কাজের মাধ্যমে কতটা জনপ্রিয় হয়েছেন,তা এই সমাজের অনেক মানুষেরই জানা। বিপ্লব সরকারদের জন্ম হয় দেশের সেবা করার জন্য। অকুতোভয় এই দেশপ্রেমিক সৈনিক বিপ্লব সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিনিয়তই অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন।

ডিসি বিপ্লব সম্পর্কে যারা জানেন তারা প্রত্যেকেই বলেন, ডিসি বিপ্লবের মতো এমন মানুষ সমাজে খুজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। বিপ্লব সরকার সমগ্র দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। এই জাতি যদি ডিসি বিপ্লবের মতো আরো কয়েক জন ন্যায় ও সাহসী অফিসার পেত, তাহলে দেশ আরো বহুগুণ এগিয়ে যেত, যেমনটা স্বপ্ন দেখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসাধারণ চায় যে, ডিসি বিপ্লব ঢাকায় থাকুক। তার বদলির খবর এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ডিসি বিপ্লবের মতো এত ভালো লোক তাকে কেন রংপুরে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আক্রশের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা করেছেন। ভালো কাজের জন্য তাকে উপযুক্ত সম্মান না দিয়ে তার অবস্থান অনুযায়ী এর মাধ্যমে আরো অপমানিত করা হয়েছে। সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

এই ঘটনা আপামর জনসাধারণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। এভাবে সৎ ও যোগ্য অফিসারদেরকে অবমূল্যায়ন বা এরকমভাবে বদলি করা হলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং দেশ হারাবে মেধাবী সন্তানদের। ফলে দেশের প্রতিটি স্তরে স্তরে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশের প্রতিটি জনগনের আকুল আবেদন ডিএমপি এর তেজগাঁও এর ডিসি বিপ্লব সরকারের বদলি স্থগিত করে যেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর যেকোন সম্মানজনক পদে তাকে বহাল রাখা হয়। একজন লিখেছেন, হয়তো একজন Biplob Sarker এর জন্য, অনেকের ক্ষতি হচ্ছিলো, তাই উনাকে সুন্দর ভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, বিপ্লবদার মতো দুঃসময়ের নেতারা না থাকলে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

তিনি জগন্নাথ হলের, দলের দুঃসময়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এটা কি উনার অপরাধ? নাকি সব ছাত্রলীগের ছেলে মেয়েরা, উনার কাছে গিয়ে হেল্প পায়, এটা উনার অপরাধ? নাকি তিনি তেজগাঁও কে সন্ত্রাসী মুক্ত করেছেন, এটা উনার অপরাধ, নাকি উনি ছোট থেকে বড়, উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবার কথা শুনেন, সবার বিপদে এগিয়ে যান, এটা হয়তো উনার অপরাধ, কিছু মহলের হয়তো, এগুলো পছন্দ হয় নি, তাই সুন্দর করে সাবেক এই ছাত্রলীগের নেতাকে ডিএমপির ডিসি থেকে রংপুরে বদলি করা হয়েছে…

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ২৩ বারের শ্রেষ্ঠ ডিসি তো, কেউ এভাবে হয়ে যায় নি।

আশা করি সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আপনার প্রতি সুবিচার করবেই এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনাকে বিশেষ কোন জনগুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করে পুরস্কৃত করবে। প্রয়োজনে আপনাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে, কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ সৃষ্টি করে সেখানে আপনাকে পদায়ন করা হোক। এটাই আমাদের দাবি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

২৩ বার শ্রেষ্ঠ উপ-কমিশনার ডিসি বিপ্লব সরকারকে বদলি, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জনসাধারণ

আপডেট টাইম : ১২:৪৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর রেকর্ড সংখ্যক ২৩ বার শ্রেষ্ঠ উপ-কমিশনার (ডিসি) হিসেবে পুরস্কৃত তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) কিশোরগঞ্জের কৃতী সন্তান বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএম কে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলি করা হয়। বদলির বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জনবান্ধব ও জনপ্রিয় এই কর্মকর্তার বদলির আদেশ প্রত্যাহারের আকুতি জানিয়েছেন জনসাধারণ। এমনকি জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজনের কথাও বলা হয়েছে।

নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সেসব প্রতিক্রিয়ায় তারা বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম(বার), পিপিএম এর কর্মতৎরতা উল্লেখসহ তাকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি)হিসেবে বহাল রাখার আকুতি ও দাবি জানিয়েছেন।

একজন লিখেছেন, ‘এই গরীব দেশে আমার মতো লক্ষ লক্ষ বিপ্লব সরকার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। সরকার আমাকে গাড়ি, ড্রাইভার, বডিগার্ড দিয়েছে। আমার মতো সামান্য বিপ্লব সরকারের পেছনে এ রাষ্ট্রের অনেক ইনভেস্টমেন্ট। এই রাষ্ট্রের সেবায় আমার তো সবটুকুই দেওয়া উচিত’
এই উক্তিটি যার, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। হ্যাঁ, তিনি পুলিশ কর্মকর্তা। শত অভিযোগে পর্যুদস্ত পুলিশ বিভাগে তিনি ব্যতিক্রম একজন। কর্মক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতাকে পাশ কাটিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সার্বজনীন। হয়ে উঠেছিলেন নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচারের প্রতীক। হ্যাঁ, ২১তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারের কথা বলছি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালাচনা সভায় রেকর্ড ২৩ বার শ্রেষ্ঠ ডিসি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গনভবন, মহান জাতীয় সংসদ ভবনসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ন ও স্পর্শকাতর স্হাপনা যে তেজগাঁও বিভাগে, সেই বিভাগের তেজগাঁও, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরেবাংলা নগর ও হাতিরঝিল থানা এলাকায় বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপত্তার চাদরে আবদ্ধ করে রেখেছেন যিনি, তার নাম বিপ্লব কুমার সরকার।

শুধু কি তেজগাঁও বিভাগের ৬ টি থানার অধিবাসীরাই সেবা পেয়েছেন তার কাছে? কে সেবা পায় নি তাঁর কাছে?
তার অফিসিয়াল ০১৭১৩৩৭৩১৭৫ মোবাইল নম্বরে ফোন করে শত শত নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় মানুষ পেয়েছে ন্যায় বিচার। যে কোন অভিযোগ তার কানে পৌঁছামাত্রই সংশ্লিষ্ট ওসি/এসি/ এডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় ফেরা নিষেধ। তেজগাঁও বিভাগের অফিসিয়াল DC Tejgaon – DMP ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের/ তাদের পরিবারের সমস্যা সমাধান করেছেন তিনি।

একটা ফোন কল বা মেসেজেই। ন্যায় বিচারের প্রশ্নে কর্মস্থলের সীমাবদ্ধতাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে দিনের পর দিন অসহায়, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষকে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন এই নির্লোভ মানুষটি। মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সর্বপ্রকার ক্রিমিনালদের জন্য তিনি হয়ে উঠেছিলেন মূর্তিমান আতংক।

শুধুই কি মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ বা ক্রিমিনালদের জন্য যমদূত ছিলেন তিনি? তার অধীনস্ত পুলিশকেও বিন্দুমাত্র ছাড় দেন নি তিনি। যখনই শুনেছেন পুলিশ কতৃক জনহয়রানির খবর, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন। মামলাও হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

বিপ্লব কুমার সরকার বাংলাদেশ পুলিশের সেই অমিত সাহসী কর্মকর্তা, যিনি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত ত্রৈমাসিক অপরাধ সভায় আইজিপি মহোদয়ের উপস্থিতিতে দীপ্ত কণ্ঠে ঘোষনা করেছিলেন, ‘রেঞ্জ ডিআইজিরা ওসি পদায়নে ২০ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন। আবার পুলিশ সুপাররা এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদায়নে ঘুষ নেন। ফলে এ ঘুষের টাকা উঠাতে গিয়ে ওসি থেকে শুরু করে নিচের পদের সদস্যরা মাদক বাণিজ্যসহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডে যুক্ত হন। ফলে মাদকবাণিজ্য বন্ধ করা যায় না। মাদক বাণিজ্য বন্ধ করতে হলে ওসি থেকে নিম্নপদে কর্মরতদের পদায়নে ঘুষ লেনদেন বন্ধ করতে হবে।’ একজন সরকারী কর্মকর্তা কতোটুকু সৎ ও আত্মবিশ্বাসী হলে এমন কথা বলতে পারেন! তাও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সব ঊর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে!

এমনই পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। ‘ছিলেন’ বলছি এই কারণে যে, দেশ ও জনগনের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ একজন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে যে আত্মতৃপ্তি ছিল তার, সেটা কি এখনো আছে? নাকি মরে গেছে?

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি পোস্টিং অর্ডার দেখে অনেকের মতো আমিও ব্যথিত হয়েছি। যে অর্ডারে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএমকে রংপুর জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, সততা, পরোপকারিতা, জনসাধারণের অভিযোগ অনুযোগে পজিটিভ কুইক রেসপন্স ও আত্মনিবেদনের কারণে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গস্পর্শী। বিশেষ করে তরুণ সমাজে তিনি একজন রোল মডেল।

জঙ্গীবাদ দমনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে যে ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম সংগ্রহ কর্মসূচী, এই ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম সংগ্রহ পদ্ধতি প্রথম চালু করেছেন বিপ্লব কুমার সরকার। তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর থানায় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। যা পরে পর্যায়ক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা ও মেট্রোপলিটনেও চালু হয়েছে।

পুলিশিংয়ে নতুন ধারার প্রবর্তক এই কর্মকর্তার ঈর্ষণীয় সাফল্য ও তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তায় অনেকেই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছিল। যাদের রোষানলে পুড়ে তাকে হয়তো চলে যেতে হবে পুলিশের মেইন স্ট্রীম থেকে দূরে। রংপুর জেলায়।

‘আমরা চাই না একটি শিশু রাস্তায় বেড়ে উঠুক’-এই মনোবাসনা হৃদয়ে ধারণ করে সুবিধা বঞ্চিত, অনাথ ও পথশিশুদের সুশিক্ষা, আবাসন ও উন্নত জীবন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থিত চারটি স্কুলের সাথে তিনি জড়িত বলে জানতে পারলাম। তার তত্ত্বাবধানে একদল স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারের উচ্ছিষ্ট খাবার সংগ্রহ করে এসব শিশুদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে।

প্রত্যেক মাসে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করে প্রত্যেক শিশু ও তার পরিবারকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণে শিশুদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ এবং উৎসবে পোশাক বিতরণও করা হয়। এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি তদারকি ও এলাকার অধিবাসীদের সেবায় সকাল ০৯.৩০ ঘটিকা থেকে রাত ১২.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত তিনি অফিস ও অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় থাকেন বলে এলাকার লোকজনের কাছে জানতে পারলাম। অত্যধিক পরিশ্রমের কারনে তিনি অসুস্থও থাকেন প্রায়ই। যে কারনে নিয়মিত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয় তাকে। তাকে এই মূহূর্তে ঢাকার বাইরে পাঠানো কি খুব জরুরী?

বিপ্লব কুমার সরকার শুধুই একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি হাজার হাজার তরুণের রোল মডেল। সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে সততা, পরোপকারিতা, বিচক্ষণতা, দূর্নীতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন মনোভাবের যে দৃষ্টান্ত তিনি স্হাপন করেছেন, তা দেখে যে হাজার হাজার স্বপ্নবাজ তরুন অনুপ্রানিত, তার এই পোস্টিং অর্ডার দেখে তারা কি ডিমোরালাইজড হবে না এতোটুকুও?

আমরা তো অনেক কিছুই ভাইরাল করি। অল্পতেই দূর্বার আন্দোলন শুরু করি সোস্যাল মিডিয়ায়।

আসুন একজন সৎ, নীতিবান, পরোপকারী, দেশপ্রেমিক ও জনগনের সেবায় নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি মহান। আপনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

আরেকজন লিখেছেন, বিপ্লব সরকার যাকে বাংলাদেশ পুলিশ তথা রাষ্ট্রের অন্যতম গর্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায় কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে দেখা যায় যে, রংপুর জেলায় তেজগাঁওয়ের ডিসি বিপ্লব সরকার কে বদলির নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে, যা সাংবাদিক মহলের অনেকেই কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। শুধু সাংবাদিক মহলই নয়, তেজগাঁও বিভাগসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্তরের গণমানুষ এ বদলির আদেশ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

ডিসি বিপ্লব সরকার তার ভালো কাজের মধ্যে দিয়ে সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সাংবাদিক মহলের দৃষ্টিতে দেখা ডিসি বিপ্লবের কাছে সমাজের যারাই এসেছেন, তারা প্রত্যেকেই কোন না কোনভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন হয়তো কাউকে তার নিজের মেধা-বুদ্ধি খাটিয়ে নয়তো যতটুকু সম্ভব আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে। কেউ কখনো তার কাছ থেকে নিরাশ হয়ে যাননি। ছোট বড় সকলেই তার সহযোগিতা পেয়েছেন। শুধু রাজধানীবাসী নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তার সহযোগিতা পেয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু পাগল এই মানুষটি জাতির জনকের স্বপ্ন তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে মনে প্রাণে লালন করেন ও সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ পুলিশ এর সুনাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন এমন কয়েকজন পুলিশ অফিসারের নাম বললে যার নাম প্রথমসারিতে চলে আসে তিনি হলেন ডিএমপির তেজগাঁও এর ডিসি বিপ্লব সরকার। তিনি এই অঞ্চলের মানুষের স্বার্থে নানা ধরনের উন্নয়নমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন যা দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছে বারবার।

জনসমাজে তিনি যে তার কাজের মাধ্যমে কতটা জনপ্রিয় হয়েছেন,তা এই সমাজের অনেক মানুষেরই জানা। বিপ্লব সরকারদের জন্ম হয় দেশের সেবা করার জন্য। অকুতোভয় এই দেশপ্রেমিক সৈনিক বিপ্লব সরকার দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিনিয়তই অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন।

ডিসি বিপ্লব সম্পর্কে যারা জানেন তারা প্রত্যেকেই বলেন, ডিসি বিপ্লবের মতো এমন মানুষ সমাজে খুজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর। বিপ্লব সরকার সমগ্র দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। এই জাতি যদি ডিসি বিপ্লবের মতো আরো কয়েক জন ন্যায় ও সাহসী অফিসার পেত, তাহলে দেশ আরো বহুগুণ এগিয়ে যেত, যেমনটা স্বপ্ন দেখেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসাধারণ চায় যে, ডিসি বিপ্লব ঢাকায় থাকুক। তার বদলির খবর এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ডিসি বিপ্লবের মতো এত ভালো লোক তাকে কেন রংপুরে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক আক্রশের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা করেছেন। ভালো কাজের জন্য তাকে উপযুক্ত সম্মান না দিয়ে তার অবস্থান অনুযায়ী এর মাধ্যমে আরো অপমানিত করা হয়েছে। সম্মানিত ব্যক্তিকে সম্মান দিলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।

এই ঘটনা আপামর জনসাধারণ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। এভাবে সৎ ও যোগ্য অফিসারদেরকে অবমূল্যায়ন বা এরকমভাবে বদলি করা হলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং দেশ হারাবে মেধাবী সন্তানদের। ফলে দেশের প্রতিটি স্তরে স্তরে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশের প্রতিটি জনগনের আকুল আবেদন ডিএমপি এর তেজগাঁও এর ডিসি বিপ্লব সরকারের বদলি স্থগিত করে যেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এর যেকোন সম্মানজনক পদে তাকে বহাল রাখা হয়। একজন লিখেছেন, হয়তো একজন Biplob Sarker এর জন্য, অনেকের ক্ষতি হচ্ছিলো, তাই উনাকে সুন্দর ভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, বিপ্লবদার মতো দুঃসময়ের নেতারা না থাকলে, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

তিনি জগন্নাথ হলের, দলের দুঃসময়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এটা কি উনার অপরাধ? নাকি সব ছাত্রলীগের ছেলে মেয়েরা, উনার কাছে গিয়ে হেল্প পায়, এটা উনার অপরাধ? নাকি তিনি তেজগাঁও কে সন্ত্রাসী মুক্ত করেছেন, এটা উনার অপরাধ, নাকি উনি ছোট থেকে বড়, উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবার কথা শুনেন, সবার বিপদে এগিয়ে যান, এটা হয়তো উনার অপরাধ, কিছু মহলের হয়তো, এগুলো পছন্দ হয় নি, তাই সুন্দর করে সাবেক এই ছাত্রলীগের নেতাকে ডিএমপির ডিসি থেকে রংপুরে বদলি করা হয়েছে…

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ২৩ বারের শ্রেষ্ঠ ডিসি তো, কেউ এভাবে হয়ে যায় নি।

আশা করি সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ আপনার প্রতি সুবিচার করবেই এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে আপনাকে বিশেষ কোন জনগুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত করে পুরস্কৃত করবে। প্রয়োজনে আপনাকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে, কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ সৃষ্টি করে সেখানে আপনাকে পদায়ন করা হোক। এটাই আমাদের দাবি।