ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো আওয়ামী লীগেরই কিছু কুচক্রি নেতা : আইনমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯
  • ২২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অনেকেই বলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠী রাজাকার, আল বদরেরা। কিন্তু সেটা কি ঠিক? ইতিহাস কিন্তু তা বলেনা। ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো এই আওয়ামী লীগেরই কিছু কুচক্রি নেতা। তার মানে মীর জাফর আমাদের মধ্যে ছিলো। তাই দেশে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নিতে বলেন তিনি।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিষদের সদস্য সচিব ফজলে নূর তাপসের সঞ্চালনা এবং পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে সরাতে ড. কামাল হোসেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে জুডিশিয়াল ক্যু’তে জাড়িত ছিলেন। আপনারা দেখেছেন, প্রথমে শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকশে যখন তার প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন তখন রাজাপাকশেকেও নেমে যেতে হয়েছে। তারপর পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফকে নামিয়ে দিয়েছেন তার প্রধান বিচারপতি। তারপরে নেপালে এবং তারপরে আমাদের সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহাকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সবার নাম কিন্তু আমরা জানি।

মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। দরকার হলে কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেবেন। তারপরেও তো আন্দোলনের কোন প্রয়োজন হয়না। এই আন্দোলন যাতে চলমান থাকে, এই আন্দোলনের ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করা যায়, সেইজন্য এই কামাল হোসেন, ইউনুছ (ড. মুহাম্মদ ইউনুছ), খালেদা জিয়ার যারা সহযোগী তারা কিন্তু এটার মধ্যে নাক গলানো শুরু করে। তারপর সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। তাদের যৌক্তিক দাবি সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তারাও ফিরে যেতে চেয়েছে এবং তারা ফিরে গেছে। এর মধ্যেও একটা ষড়যন্ত্র, সরকারকে ফেলে দিতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এগুলো কিসের আলামত? এগুলো হচ্ছে, উনারা কোন একটা পেছনের দরজা দিয়ে যাতে ক্ষমতায় আসতে পারে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের নিচে নামাতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মওদুদ সাহেব বলেন আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের দরকার নাই, আমাদের সেইভ বাংলাদেশ দরকার। উনাদের সেইভ বাংলাদেশের নমুনা হলো-হত্যার বিচার হবে না, আর ক্যান্টনমেন্টে প্রত্যেক শুক্রবার হত্যাযজ্ঞ চলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো আওয়ামী লীগেরই কিছু কুচক্রি নেতা : আইনমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অনেকেই বলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠী রাজাকার, আল বদরেরা। কিন্তু সেটা কি ঠিক? ইতিহাস কিন্তু তা বলেনা। ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো এই আওয়ামী লীগেরই কিছু কুচক্রি নেতা। তার মানে মীর জাফর আমাদের মধ্যে ছিলো। তাই দেশে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ নিতে বলেন তিনি।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পরিষদের সদস্য সচিব ফজলে নূর তাপসের সঞ্চালনা এবং পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ. ম. রেজাউল করিম এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাকে সরাতে ড. কামাল হোসেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে জুডিশিয়াল ক্যু’তে জাড়িত ছিলেন। আপনারা দেখেছেন, প্রথমে শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকশে যখন তার প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন তখন রাজাপাকশেকেও নেমে যেতে হয়েছে। তারপর পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফকে নামিয়ে দিয়েছেন তার প্রধান বিচারপতি। তারপরে নেপালে এবং তারপরে আমাদের সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহাকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সবার নাম কিন্তু আমরা জানি।

মন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তিনি বিষয়টি দেখবেন। দরকার হলে কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেবেন। তারপরেও তো আন্দোলনের কোন প্রয়োজন হয়না। এই আন্দোলন যাতে চলমান থাকে, এই আন্দোলনের ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করা যায়, সেইজন্য এই কামাল হোসেন, ইউনুছ (ড. মুহাম্মদ ইউনুছ), খালেদা জিয়ার যারা সহযোগী তারা কিন্তু এটার মধ্যে নাক গলানো শুরু করে। তারপর সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। তাদের যৌক্তিক দাবি সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন। তারাও ফিরে যেতে চেয়েছে এবং তারা ফিরে গেছে। এর মধ্যেও একটা ষড়যন্ত্র, সরকারকে ফেলে দিতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এগুলো কিসের আলামত? এগুলো হচ্ছে, উনারা কোন একটা পেছনের দরজা দিয়ে যাতে ক্ষমতায় আসতে পারে। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের নিচে নামাতে হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মওদুদ সাহেব বলেন আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের দরকার নাই, আমাদের সেইভ বাংলাদেশ দরকার। উনাদের সেইভ বাংলাদেশের নমুনা হলো-হত্যার বিচার হবে না, আর ক্যান্টনমেন্টে প্রত্যেক শুক্রবার হত্যাযজ্ঞ চলবে।