ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকেলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯
  • ৩৪৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অপেক্ষার পালা শেষ। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিরোপা মিশন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে যাচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।

ম্যাচটির আগে বাংলাদেশের জন্য অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট সমস্যা। তামিমের চোট নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতে হচ্ছে। ওভালে প্রথম দিনের অনুশীলনের সময় চোট পান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। কব্জির চোট। এক্স-রে রিপোর্টে খারাপ কিছু দেখা যায়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াইয়ে তামিম খেলবেন কি-না এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। দলে আরো বেশ কয়েকজনের হালকা-পাতলা চোট রয়েছে। তবে তাদের খেলা নিয়ে শঙ্কার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিশ্বকাপের মিশন শুরু করার আগে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে বাংলাদেশ শিবির বেশ উজ্জীবিত। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আয়ারল্যান্ডে খেলা ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে লাল-সবুজদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বহুজাতিক সিরিজে প্রথম শিরোপা জয়ে মাশরাফীদের আত্মবিশ্বান ঢের বেড়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারের অস্বস্তিটুকু ছাড়া গত একটা মাস অসাধারণই কেটেছে বাং লাদেশের।

বিশ্বকাপে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটা সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে দারুণ একটা জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য অন্য দুই দেখায় হারতে হয়েছে তাদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের স্মৃতিটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য সুখের নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ২০১৭ সালে তিনটি ওয়ানডেতেই হেরেছিল তাদের।

আজকের লড়াইয়ে অবশ্য অনেকটা আহত দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ১০৪ রানের বড় হার মানতে হয়েছে পাফ দু প্লেসির দলের। সেই ম্যাচের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষেও তারকা পেসার ডেল স্টেইনকে পাচ্ছে না তারা। এক ক্রিস মরিস ছাড়া আর কোনো ব্যাকআপ পেসারও নেই।

তবে বাংলাদেশকে রাবাদা চেনেন খুব ভালোভাবেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর আর মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক তো একই। দুইজনই হয়ে উঠেছেন সময়ের অন্যতম সেরা পেসার। আজকের ম্যাচে তাদের লড়াইটাও নজরে থাকবে সবার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম অস্ত্র হতে পারে রিস্ট স্পিনার ইমরান তাহির। প্রথম ম্যাচে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হেনেছিলেন তিনি। অবশ্য তার লেগস্পিন সামাল দিতে হলে একটু সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট চালানোর প্রয়োজন পড়বে বাংলাদেশ দলের ব্যাটম্যানদের।

দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে লাইন-আপ নিয়েও বিপাকে পড়তে পারে। হাশিম আমলা যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাথায় চোট পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডেভিড মিলার খেলতে পারেন। আমলা না থাকলে একটু স্বস্তিই মিলবে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বাকিরা ঠিকই থাকবেন। ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনি, এইডেন মার্করামরা রয়েছেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এদের একজনই যথেষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার এসব ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশ দলের বোলারদের।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিকেলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন

আপডেট টাইম : ০৫:৩০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অপেক্ষার পালা শেষ। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিরোপা মিশন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে যাচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। লন্ডনের কেনিংটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় মুখোমুখি হবে দল দুটি।

ম্যাচটির আগে বাংলাদেশের জন্য অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট সমস্যা। তামিমের চোট নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকতে হচ্ছে। ওভালে প্রথম দিনের অনুশীলনের সময় চোট পান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। কব্জির চোট। এক্স-রে রিপোর্টে খারাপ কিছু দেখা যায়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াইয়ে তামিম খেলবেন কি-না এ ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। দলে আরো বেশ কয়েকজনের হালকা-পাতলা চোট রয়েছে। তবে তাদের খেলা নিয়ে শঙ্কার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিশ্বকাপের মিশন শুরু করার আগে আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে বাংলাদেশ শিবির বেশ উজ্জীবিত। বিশ্বকাপ উপলক্ষে আয়ারল্যান্ডে খেলা ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে লাল-সবুজদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। বহুজাতিক সিরিজে প্রথম শিরোপা জয়ে মাশরাফীদের আত্মবিশ্বান ঢের বেড়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হারের অস্বস্তিটুকু ছাড়া গত একটা মাস অসাধারণই কেটেছে বাং লাদেশের।

বিশ্বকাপে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে একটা সুখস্মৃতি আছে বাংলাদেশের। ২০০৭ বিশ্বকাপে সুপার এইটে দারুণ একটা জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবশ্য অন্য দুই দেখায় হারতে হয়েছে তাদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের স্মৃতিটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য সুখের নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে ২০১৭ সালে তিনটি ওয়ানডেতেই হেরেছিল তাদের।

আজকের লড়াইয়ে অবশ্য অনেকটা আহত দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ১০৪ রানের বড় হার মানতে হয়েছে পাফ দু প্লেসির দলের। সেই ম্যাচের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষেও তারকা পেসার ডেল স্টেইনকে পাচ্ছে না তারা। এক ক্রিস মরিস ছাড়া আর কোনো ব্যাকআপ পেসারও নেই।

তবে বাংলাদেশকে রাবাদা চেনেন খুব ভালোভাবেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর আর মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক তো একই। দুইজনই হয়ে উঠেছেন সময়ের অন্যতম সেরা পেসার। আজকের ম্যাচে তাদের লড়াইটাও নজরে থাকবে সবার।

বাংলাদেশের বিপক্ষে বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম অস্ত্র হতে পারে রিস্ট স্পিনার ইমরান তাহির। প্রথম ম্যাচে প্রথম ওভারেই ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হেনেছিলেন তিনি। অবশ্য তার লেগস্পিন সামাল দিতে হলে একটু সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট চালানোর প্রয়োজন পড়বে বাংলাদেশ দলের ব্যাটম্যানদের।

দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিংয়ে লাইন-আপ নিয়েও বিপাকে পড়তে পারে। হাশিম আমলা যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে মাথায় চোট পেয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষেও খেলতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডেভিড মিলার খেলতে পারেন। আমলা না থাকলে একটু স্বস্তিই মিলবে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে বাকিরা ঠিকই থাকবেন। ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনি, এইডেন মার্করামরা রয়েছেন। ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এদের একজনই যথেষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার এসব ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখার দায়িত্ব নিতে হবে বাংলাদেশ দলের বোলারদের।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ :

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন/রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমান।