ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন হয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
  • ৩১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় – ধূমপান ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয় শরীরের সব অঙ্গ। ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বলে জানান ডাক্তাররা। এছাড়া সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় সেগুলো হলো-

১. সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাত ও পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

২. সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার শরীরে জমে থাকা কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় ফুসফুস থেকে ক্ষতিকারক ও অস্বস্তিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।

৩. ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসে জমে থাকা নিকোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বোধ বাড়বে।৪. ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ৩ দিনের মধ্যে আপনার ব্রঙ্কিয়াল টিউব প্রসারিত হবে। ফলে অনেক স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারবেন, এনার্জি ফিরে আসবে, স্ট্রেস কমবে।

৫. ২ সপ্তাহের মধ্যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে হাঁটাচলা করতে আগে যে হাঁফিয়ে উঠতেন, এই সময় থেকে তা কমে গিয়ে এনার্জি ফিরে পাবেন।

৬. ৩-৯ মাসের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার আর নিশ্বাস নিতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। ধূমপানের কারণে যে খুকখুকে কাশি হতো তাও অনেক কমে এসেছে। এই সময় থেকে ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ফাইবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। যা ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে পরিষ্কার রাখে।

৭. ধূমপান ছাড়ার ১ বছর পরও যারা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের তুলনায় আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।৮. সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কোনও দিন ধূমপান না করলেও যে ঝুঁকি থাকে, ৫ বছর পর ঝুঁকির পরিমাণ ঠিক ততটাই কমে আসে।

৯. ধূমপানের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর ১০ বছর সময় লাগে ফুসফুসের আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন হয়

আপডেট টাইম : ০৫:১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় – ধূমপান ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয় শরীরের সব অঙ্গ। ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক বছরের মধ্যে শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে বলে জানান ডাক্তাররা। এছাড়া সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার পর আমাদের শরীরে যেসব পরিবর্তন হয় সেগুলো হলো-

১. সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই আমাদের রক্তচাপ কমে গিয়ে স্বাভাবিক হয়ে যায়। হাত ও পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।

২. সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার শরীরে জমে থাকা কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ায় ফুসফুস থেকে ক্ষতিকারক ও অস্বস্তিকর ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।

৩. ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফুসফুসে জমে থাকা নিকোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে। ফলে ঘ্রাণ ও স্বাদ বোধ বাড়বে।৪. ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার ৩ দিনের মধ্যে আপনার ব্রঙ্কিয়াল টিউব প্রসারিত হবে। ফলে অনেক স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস চালাতে পারবেন, এনার্জি ফিরে আসবে, স্ট্রেস কমবে।

৫. ২ সপ্তাহের মধ্যে শরীরে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ফলে হাঁটাচলা করতে আগে যে হাঁফিয়ে উঠতেন, এই সময় থেকে তা কমে গিয়ে এনার্জি ফিরে পাবেন।

৬. ৩-৯ মাসের মধ্যে বুঝতে পারবেন আপনার আর নিশ্বাস নিতে বিশেষ কষ্ট হচ্ছে না। ধূমপানের কারণে যে খুকখুকে কাশি হতো তাও অনেক কমে এসেছে। এই সময় থেকে ব্রঙ্কিয়াল টিউবের ফাইবার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে থাকে। যা ফুসফুস থেকে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে পরিষ্কার রাখে।

৭. ধূমপান ছাড়ার ১ বছর পরও যারা কোনও দিন ধূমপান করেননি তাদের তুলনায় আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে দ্বিগুণ।৮. সিগারেট ছেড়ে দেওয়ার ৫ বছরের মধ্যে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কোনও দিন ধূমপান না করলেও যে ঝুঁকি থাকে, ৫ বছর পর ঝুঁকির পরিমাণ ঠিক ততটাই কমে আসে।

৯. ধূমপানের ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পর ১০ বছর সময় লাগে ফুসফুসের আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে।