ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনার মুখে বাইডেন পাঠ্যপুস্তকের ত্রুটি কমাতে সরকার চেষ্টা করছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা দুর্বল ব্যাংকের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত জানালেন অর্থ উপদেষ্টা এক দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়ে সড়ক ছাড়লেন সাদপন্থীরা যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে নির্বাচন দেওয়া উচিত: মঈন খান আদানির সঙ্গে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি আজ ‘ক্লোজ ডাউন’, দাবি না মানলে কাল ‘বারাসাত ব্যারিকেড এক হাজার দিনে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, থামবে কবে প্রয়োজনে দ্বিতীয় অভ্যুত্থান হবে: সারজিস আলম নির্বাচিত হয়ে এলে আমরা একা দেশ চালাব না: মির্জা ফখরুল

মোদী মন্ত্রিসভার নতুন এই মন্ত্রী ১ সময় কচু-শাক বিক্রি করতেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯
  • ২৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক সময় জঙ্গল থেকে কচু ও ঢেকি শাক তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে যে শিশুটি পরিবারকে সাহায্য করতো তিনিই আজ ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্য।

আসামের ডিব্রুগড়ের লোকসভা আসনের সাংসদ রামেশ্বর তেলিকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই রামেশ্বরেরই ছোটবেলা কেটেছে খুব অভাবের মধ্যে।

তার বাবা ছিলেন চা শ্রমিক। ডিব্রুগড়ের চা বাগানের বেড়ার একটি ঘরে মা,বাবা, ভাই ও দুই বোন নিয়ে ছয় জনের সংসার। বাবার উপার্জনের টাকায় সংসার ঠিক মতো চলতো না।

১২ বছর বয়স থেকেই রামেশ্বর সংসারের খরচ যোগাড়ে উপার্জনে নামেন। দুই বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে চা বাগানের আশপাশের জঙ্গলে খুঁজে কচু ও ঢেকি শাক তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। যা আয় করতেন তা দিয়ে রুটি কিনে বাড়িতে ফিরতেন।

এই অবস্থা আরও খারাপ হয় তার বাবার মৃত্যুর পর। সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। বাড়ির কাছে পানের দোকান দেন।

এই দোকান করতে করতেই ভর্তি হন কলেজে। যোগ দেন আসামের চা জনগোষ্ঠীর ছাত্র সংস্থা আটসায়। এখান থেকেই জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বগুণের কারণে বিজেপি নেতাদের চোখে পড়েন। ২০০১ ও ২০০৬ সালে হন বিধায়ক, তারপর ২০১১ সালে হেরে যান।

কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। কারণ তিনি এক লাখ ৮৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন কংগ্রেসের পাঁচ বারের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন সিংহ ঘাটোয়ারকে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একই প্রতিদ্বন্দ্বীকে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি।

বিপুল জনপ্রিয়তা ও জনগণের ব্যাপক সমর্থনের কারণেই মোদী তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

এখন আর পানের দোকান চালাতে না হলেও মা ও ভাই চা বাগানের ওই আগের ঘরেই থাকেন। রাজনীতিতে ব্যস্ত রামেশ্বর বাড়িতে খুব একটা না থাকলেও যখনই যান ওই বেড়ার ঘরেই থাকেন।

তার এক চাচা ঠেলাগাড়ি চালান। এক চাচা অটো চালান ও আরেক চাচা গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন।

সংসার ও রাজনীতি করতে গিয়ে এখনও বিয়ে করা হয়নি ৪৯ বছর বয়সী রামেশ্বরের। এখন তার জন্য পাত্রী খুঁজছেন তার মা, ‍যিনি বৃহস্পতিবার ছেলেকে দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্তে তীব্র সমালোচনার মুখে বাইডেন

মোদী মন্ত্রিসভার নতুন এই মন্ত্রী ১ সময় কচু-শাক বিক্রি করতেন

আপডেট টাইম : ০১:০৩:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক সময় জঙ্গল থেকে কচু ও ঢেকি শাক তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করে যে শিশুটি পরিবারকে সাহায্য করতো তিনিই আজ ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্য।

আসামের ডিব্রুগড়ের লোকসভা আসনের সাংসদ রামেশ্বর তেলিকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এই রামেশ্বরেরই ছোটবেলা কেটেছে খুব অভাবের মধ্যে।

তার বাবা ছিলেন চা শ্রমিক। ডিব্রুগড়ের চা বাগানের বেড়ার একটি ঘরে মা,বাবা, ভাই ও দুই বোন নিয়ে ছয় জনের সংসার। বাবার উপার্জনের টাকায় সংসার ঠিক মতো চলতো না।

১২ বছর বয়স থেকেই রামেশ্বর সংসারের খরচ যোগাড়ে উপার্জনে নামেন। দুই বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে চা বাগানের আশপাশের জঙ্গলে খুঁজে কচু ও ঢেকি শাক তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতেন। যা আয় করতেন তা দিয়ে রুটি কিনে বাড়িতে ফিরতেন।

এই অবস্থা আরও খারাপ হয় তার বাবার মৃত্যুর পর। সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে। বাড়ির কাছে পানের দোকান দেন।

এই দোকান করতে করতেই ভর্তি হন কলেজে। যোগ দেন আসামের চা জনগোষ্ঠীর ছাত্র সংস্থা আটসায়। এখান থেকেই জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বগুণের কারণে বিজেপি নেতাদের চোখে পড়েন। ২০০১ ও ২০০৬ সালে হন বিধায়ক, তারপর ২০১১ সালে হেরে যান।

কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। কারণ তিনি এক লাখ ৮৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন কংগ্রেসের পাঁচ বারের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবন সিংহ ঘাটোয়ারকে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একই প্রতিদ্বন্দ্বীকে সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারান তিনি।

বিপুল জনপ্রিয়তা ও জনগণের ব্যাপক সমর্থনের কারণেই মোদী তাকে মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

এখন আর পানের দোকান চালাতে না হলেও মা ও ভাই চা বাগানের ওই আগের ঘরেই থাকেন। রাজনীতিতে ব্যস্ত রামেশ্বর বাড়িতে খুব একটা না থাকলেও যখনই যান ওই বেড়ার ঘরেই থাকেন।

তার এক চাচা ঠেলাগাড়ি চালান। এক চাচা অটো চালান ও আরেক চাচা গ্যাস সিলিন্ডারের ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন।

সংসার ও রাজনীতি করতে গিয়ে এখনও বিয়ে করা হয়নি ৪৯ বছর বয়সী রামেশ্বরের। এখন তার জন্য পাত্রী খুঁজছেন তার মা, ‍যিনি বৃহস্পতিবার ছেলেকে দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন।