ঢাকা ০৫:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে নভেম্বরের ১৬ দিনে ১২৫ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স নির্বাচনে আ. লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে দ্য হিন্দুকে যা বললেন ড. ইউনূস আ. লীগ নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে যা জানালেন আসিফ মাহমুদ হাসিনা পালিয়েছেন জানার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল, জানালেন ড. ইউনূস সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ৮ দিনের রিমান্ডে আ. লীগের কর্মসূচিতে বাধা নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্ন, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ৪ মদনে ইয়ুথ সার্কেল ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বাকবিতণ্ডার জেরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার

মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলার মাত্র ২ জন, তাও…

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মোদীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার প্রশ্নে বঞ্চিতই থেকে গেল বাংলা। বিপুল গর্জন হলেও দিন শেষে তা আর থাকছেনা।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় পর্বের মন্ত্রিসভায় শেষ পর্যন্ত ঠাঁই পেলেন মাত্র দু’জন। তাও আবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। দু’জনের মধ্যে এক জন পুরনো মুখ, বাবুল সুপ্রিয়। অন্য জন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। একদিকে রাজ্যে ভাল ফল। অপরদিকে দু’বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের অন্তত চার-পাঁচ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিল বিজেপি। কিন্তু সে আশায় মেঘ।

গতবার মন্ত্রিসভায় ২৮-২৯ জন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এবার সংখ্যাটা ২৫। সংখ্যার হিসেবে পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৮১ হতে পারে। আজ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন ৫৮ জন। বছর শেষে আবারো মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে। তখন রাজ্যের কিছু সাংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় যেতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় বার সাংসদ সদস্য হওয়া বাবুল এবার পূর্ণমন্ত্রী হবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু এবারও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে রায়গঞ্জে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি ও সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে হারিয়ে আসা ‘জায়ান্ট কিলার’ দেবশ্রী চৌধুরীর প্রচারে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জিতলে দেবশ্রীকে মন্ত্রী করা হবে।

প্রত্যাশা ছিল, অন্তত দু’জন পূর্ণমন্ত্রী ও দু’জন প্রতিমন্ত্রী পাবে বাংলা। বিজেপি শুরুতেই ঠিক করেছিল, গত বারের দুই প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস অহলুওয়ালিয়ার মধ্যে একজনকে মন্ত্রী করা হবে। বেলা বারোটা নাগাদ বাবুলকে ফোন করে শপথে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছ, নতুন সাংসদদের মধ্যে কাকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয় দিলীপ বনাম মুকুল গোষ্ঠীর। দিলীপ নিজে মন্ত্রিত্বে রাজি ছিলেন না। আবার মুকুলকে মন্ত্রী করলে দিলীপ গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হতে পারে, সেই আশঙ্কায় নাম কাটা যায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর।

দেবশ্রীর লড়াই ছিল মূলত হুগলি-জয়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অমিতের প্রতিশ্রুতি এবং রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বাজিমাত করেন দেবশ্রীই।

মন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন সুভাষ সরকার, কুনার হেমব্রমরাও। কিন্তু শুধু দেবশ্রী ও বাবুলকে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চা-চক্রে উপস্থিত থাকার নির্দেশ আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায় কি হতে যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

মোদীর মন্ত্রিসভায় বাংলার মাত্র ২ জন, তাও…

আপডেট টাইম : ১২:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মোদীর মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার প্রশ্নে বঞ্চিতই থেকে গেল বাংলা। বিপুল গর্জন হলেও দিন শেষে তা আর থাকছেনা।

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় পর্বের মন্ত্রিসভায় শেষ পর্যন্ত ঠাঁই পেলেন মাত্র দু’জন। তাও আবার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। দু’জনের মধ্যে এক জন পুরনো মুখ, বাবুল সুপ্রিয়। অন্য জন রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।

লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশকে চমকে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন পেয়েছে বিজেপি। একদিকে রাজ্যে ভাল ফল। অপরদিকে দু’বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যের অন্তত চার-পাঁচ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিল বিজেপি। কিন্তু সে আশায় মেঘ।

গতবার মন্ত্রিসভায় ২৮-২৯ জন পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এবার সংখ্যাটা ২৫। সংখ্যার হিসেবে পূর্ণমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে মন্ত্রিসভার মোট সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৮১ হতে পারে। আজ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন ৫৮ জন। বছর শেষে আবারো মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা আছে। তখন রাজ্যের কিছু সাংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় যেতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে দ্বিতীয় বার সাংসদ সদস্য হওয়া বাবুল এবার পূর্ণমন্ত্রী হবেন বলেই ধরে নিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠরা। কিন্তু এবারও প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে রায়গঞ্জে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি ও সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে হারিয়ে আসা ‘জায়ান্ট কিলার’ দেবশ্রী চৌধুরীর প্রচারে গিয়ে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জিতলে দেবশ্রীকে মন্ত্রী করা হবে।

প্রত্যাশা ছিল, অন্তত দু’জন পূর্ণমন্ত্রী ও দু’জন প্রতিমন্ত্রী পাবে বাংলা। বিজেপি শুরুতেই ঠিক করেছিল, গত বারের দুই প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং এস এস অহলুওয়ালিয়ার মধ্যে একজনকে মন্ত্রী করা হবে। বেলা বারোটা নাগাদ বাবুলকে ফোন করে শপথে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছ, নতুন সাংসদদের মধ্যে কাকে মন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয় দিলীপ বনাম মুকুল গোষ্ঠীর। দিলীপ নিজে মন্ত্রিত্বে রাজি ছিলেন না। আবার মুকুলকে মন্ত্রী করলে দিলীপ গোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হতে পারে, সেই আশঙ্কায় নাম কাটা যায় প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর।

দেবশ্রীর লড়াই ছিল মূলত হুগলি-জয়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অমিতের প্রতিশ্রুতি এবং রাজ্য রাজনীতিতে দিলীপ গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বাজিমাত করেন দেবশ্রীই।

মন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন সুভাষ সরকার, কুনার হেমব্রমরাও। কিন্তু শুধু দেবশ্রী ও বাবুলকে বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে চা-চক্রে উপস্থিত থাকার নির্দেশ আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায় কি হতে যাচ্ছে।