হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, শিক্ষা, চিকিৎসার অভাবে গরিব মানুষ ভোগান্তিতে পড়লে শাসকদের আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ওরাকজি উপজাতীয় জেলার প্রধান কার্যালয় কালাইয়াতে এক জনসভায় শুক্রবার এসব কথা তিনি বলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজন ভালো ক্যাপ্টেন সবসময় তার দলের ওপর নজর রাখেন। মাঝে মাঝে ব্যাটিং বিন্যাসে পরিবর্তনও আনতে হয়। আগের কোনো খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে সেখানে নতুন কাউকে আনতে হতে পারে। খেলায় জিততে হলে এটা করতে হবে।
একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় উন্নতিই তার একমাত্র ভাবনার বিষয় বলে তিনি মনে করেন। ইমরান খান বলেন, এ কারণে আমার দলের ব্যাটিং বিন্যাসে আমি পরিবর্তন এনেছি। একজোড়া পরিবর্তন করেছি। ভবিষ্যতেও আমি এমনটা করব।
‘সব মন্ত্রীকে আমি বলতে চাই, যাকে দেশের কোনো কাজে আসবে না, তাকে পরিবর্তন করে সেখানে নতুন কাউকে বসানো হবে, যাকে দিয়ে দেশ লাভবান হবে,’ বললেন সাবেক এই ক্রিকেট তারকা।
ইমরান খান বলেন, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীদের উচিত, তাদের সন্ত্রিসভার ওপর নজর দেয়া। গরিব মানুষের ভোগান্তির জন্য শাসকদের অবশ্যই সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের শিশুরা যদি শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে আল্লাহর কাছে আমাদের দায়ী থাকতে হবে।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ১৫ বছর আগে উপজাতীয় এলাকার লোকজন যেসব সমস্যার মুখোমুখি, তা নিয়ে আমি কথা বলেছি। বর্তমানে পাখতুন তাহাফফুজ আন্দোলনের (পিটিএম) মাধ্যমে সেগুলোকে সবার সামনে নিয়ে এসেছি।
‘নিরপরাধ লোকজনের মৃত্যু ও ব্স্তুচ্যুত হওয়া নিয়ে আমি কথা বলেছি। পিটিএমও একই কথা বলছে। কিন্তু তাদের যুক্তির ধাঁচ উপজাতীয় এলাকা কিংবা পাকিস্তানের স্বার্থে কাজে লাগবে না।’
সাবেক এই ক্রিকেট কিংবদন্তি বলেন, মার্কিন স্বার্থে উপজাতীয় এলাকায় অভিযানের জন্য আমি সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছি। কারণ উপজাতীয় লোকজন হচ্ছেন আমাদের সেনাবাহিনী।