হাওর বার্তা ডেস্কঃ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতক শেষ করার পর বেশি দিন হয়নি। এরপরই চাকরি খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন ২৫ বছর বয়সী চন্দ্রাণী মুর্মূ। শেষ পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন তিনি। আর তা হলো দেশসেবার চাকরি! ওড়িশার উপজাতি অধ্যুষিত জেলা কেওনঝাড় থেকে একেবারে সংসদে যাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রাণী মুর্মূ জানান, পড়া শেষে চাকরির খোঁজ করছিলেন তিনি। এমন সময়েই তার কাছে নির্বাচনে লড়ার সুযোগ চলে আসে। দ্বিতীয়বার না ভেবে তিনি ভোটে লড়ার প্রস্তাবটা লুফে নেন।
নজরকাড়া প্রার্থীদের তালিকায় না থেকেও পুরো ভারতবাসীর নজর কেড়েছেন তরুণ এই রাজনীতিক। দেশটির ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে তিনিই সবচেয়ে কনিষ্ঠতম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
বিজু জনতা দলের টিকিটে এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়েন চন্দ্রাণী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুবারের এমপি বিজেপির অনন্ত নায়ক। তার মতো একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে ৬৬ হাজার ২০৩ ভোটে হারিয়েছেন তিনি।
সরাসরি রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা নেই এই উপজাতি তরুণীর। কিন্তু যে মানুষগুলোর সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট ভালোভাবেই জানেন। এসব দেখে দেখেই তিনি বড় হয়েছেন। লোকসভার যে আসনটি থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নই সেখানকার মানুষদের প্রধান দাবি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রাণী মুর্মূ বলেন, ‘লোকসভার একজন সদস্য হিসেবে আমার কাজ হবে নিজ এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, কেওনঝাড়ের মতো খনিজসমৃদ্ধ জেলায় কর্মসংস্থানের অভাব।’
রাজ্যের যুব সম্প্রদায় ও নারীদের হয়ে কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে জানান চন্দ্রাণী। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, তার জেলায় শিল্প আনতে চেষ্টার কোনো কমতি রাখবেন না।