ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাত্রলীগ নেত্রী দিয়া আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে ফেসবুক যে স্ট্যাটাস দেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯
  • ২২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জারিন দিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা জানিয়েছেন, সোমবার দিনগত রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জারিন দিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়ার এবং তারপরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লিখেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে।’

জারিন দিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

জারিন দিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৩ তারিখ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার পর যখন দেখলাম আমার নামটি নেই তখন ভাবলাম হয়তো যোগ্য না। তাই হয়তো আমার নামটি দেয়নি। এক পর্যায়ে শোভন ভাইকে ফোন দিলাম। ভাইকে বললাম ভাই আমাকে কেন কমিটিতে রাখা হলো না? আমি শুনতে চেয়েছিলাম তিনি হয়তো বলবেন আমি যোগ্য না। রাজনীতি করতে থাকো পাবে এক সময়। কিন্তু না…

ভাই আমাকে বললেন, তোকে অনেক রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাব্বানীর জন্য তোকে রাখতে পারিনি। তোর উপর রাব্বানীর ব্যক্তিগত ক্ষোভ। আমাকে ভুল বুঝিস না। কথাটা শুনে কাঁদবো না হাসবো বুঝতে পারলাম না। তখন আমি শোভন ভাইকে বললাম ব্যক্তিগত ক্ষোভের সেই ঘটনা।  কোন উত্তর দিতে পারেননি শোভন ভাই। রাব্বানী ভাইকে অনেক বার ফোন দিয়েছি। উনি ফোন ধরেনি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আমার সাথে রাব্বানী ভাই এর ক্ষোভের ঘটনাটি উল্লেখ করি। যেটা ভাইরাল হয়ে যায়।

আজ সেই লেখা স্ট্যাটাসটার জন্য আমাকে ছাত্রলীগ থেকে তারা বহিষ্কার করে দিলেন? শোভন-রাব্বানী ভাই আপনাদের একটা কথা বলে যেতে চাই- ব্যক্তিগত ক্ষোভ না দেখিয়ে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করে তাদের মূল্যায়ন দিয়েন। আমি সে দিনের মারামারিতে যখন কোমরে আঘাত পেলাম-কই আপনারা তো আমার একটা খোঁজ নিলেন না!

আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। জানি না কি করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে উত্তরগুলো নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে। রাজনীতি করতে এসে রাজনৈতিক নেতাদেরই দ্বারা এতটা অসম্মানিত হবো কোনদিন ভাবতেও পারিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ছাত্রলীগ নেত্রী দিয়া আত্মহত্যা চেষ্টার আগে শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে ফেসবুক যে স্ট্যাটাস দেন

আপডেট টাইম : ০৩:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে মারামারির ঘটনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য জারিন দিয়া আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতারা জানিয়েছেন, সোমবার দিনগত রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জারিন দিয়া। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়ার এবং তারপরের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জারিন দিয়া লিখেছেন, ‘আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জানি না কী করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলির উত্তর নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে।’

জারিন দিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:

জারিন দিয়ার ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৩ তারিখ পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার পর যখন দেখলাম আমার নামটি নেই তখন ভাবলাম হয়তো যোগ্য না। তাই হয়তো আমার নামটি দেয়নি। এক পর্যায়ে শোভন ভাইকে ফোন দিলাম। ভাইকে বললাম ভাই আমাকে কেন কমিটিতে রাখা হলো না? আমি শুনতে চেয়েছিলাম তিনি হয়তো বলবেন আমি যোগ্য না। রাজনীতি করতে থাকো পাবে এক সময়। কিন্তু না…

ভাই আমাকে বললেন, তোকে অনেক রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু রাব্বানীর জন্য তোকে রাখতে পারিনি। তোর উপর রাব্বানীর ব্যক্তিগত ক্ষোভ। আমাকে ভুল বুঝিস না। কথাটা শুনে কাঁদবো না হাসবো বুঝতে পারলাম না। তখন আমি শোভন ভাইকে বললাম ব্যক্তিগত ক্ষোভের সেই ঘটনা।  কোন উত্তর দিতে পারেননি শোভন ভাই। রাব্বানী ভাইকে অনেক বার ফোন দিয়েছি। উনি ফোন ধরেনি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে আমার সাথে রাব্বানী ভাই এর ক্ষোভের ঘটনাটি উল্লেখ করি। যেটা ভাইরাল হয়ে যায়।

আজ সেই লেখা স্ট্যাটাসটার জন্য আমাকে ছাত্রলীগ থেকে তারা বহিষ্কার করে দিলেন? শোভন-রাব্বানী ভাই আপনাদের একটা কথা বলে যেতে চাই- ব্যক্তিগত ক্ষোভ না দেখিয়ে যারা সংগঠনের জন্য কাজ করে তাদের মূল্যায়ন দিয়েন। আমি সে দিনের মারামারিতে যখন কোমরে আঘাত পেলাম-কই আপনারা তো আমার একটা খোঁজ নিলেন না!

আমি মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। জানি না কি করবো। আমি যদি মারা যাই শোভন-রাব্বানী ভাইদের কাছ থেকে উত্তরগুলো নিয়ে আমাকে কলঙ্কমুক্ত করবেন পারলে। রাজনীতি করতে এসে রাজনৈতিক নেতাদেরই দ্বারা এতটা অসম্মানিত হবো কোনদিন ভাবতেও পারিনি।