ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে কবর দেওয়া হয় গাছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪১০ বার

ছবিতে যে গাছগুলো দেখছেন তা শুধু গাছই নয়, এগুলো এক একটি কবরও। একেকটি গাছের ভেতর কম করে হলেও রয়েছে এক ডজন শিশুর মরদেহ!

কিন্তু গাছের ভেতর কবর দেওয়ার রীতি এলো কী করে? জায়গাটা ইন্দোনেশিয়া। এখানে কোনো শিশু মারা গেলে গাছের ফাঁপা গর্তে তাদের কবর দেওয়া হয়।

দক্ষিণ-স্যুলাওয়াসির একশো ৮৬ মাইল উত্তরের প্রাদেশিক রাজাধ‍ানী মাকাস্সারের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল তানা তোরাজার শাস্ত্রীয় আচারে পরিণত হয়েছে মরদেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এ রীতি।

এখানে গ্রামবাসী গাছের গায়ে গর্ত খুঁজে কাপড়ে জড়ানো শিশুর মরদেহ সংস্থাপন করে। এরপর গর্তটিকে পাম গাছের আঁশ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এক সময় গাছের গায়ের এ ফাটল বন্ধ হয়ে যায়। আর মৃতদেহ গাছের ভেতরে চলে যায়। তাদের বিশ্বাস, মৃত শিশুটি প্রকৃতির গর্ভে চলে যায়।

তবে যেসব শিশুরা দাঁত ওঠার আগেই মারা যায়, শুধু তাদেরই এভাবে সমাধি দেওয়ার নিয়ম। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এভাবে কবর দিলে বাতাস শিশুর আত্মাকে তুলে নিয়ে যায়।

তোরাজানদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ভিন্নতা এখানেই শেষ নয়। এ অঞ্চলে মৃত ব্যক্তির দেহ কবর থেকে তুলে কাপড় বদলে ও সাজিয়ে সারা গ্রাম জুড়ে হাঁটানোর রীতিও রয়েছে।

ব্যতিক্রম এ রীতির নাম মাইনেন। প্রতি তিন বছর পর পর মৃতদের প্রতি গ্রামবাসীর ভালোবাসা প্রকাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়দের বিশ্বাস, যদিও তাদের পূর্ব-পুরুষদের অনেকেই একশো বছর আগে মারা গেছেন তবুও তারা এখনও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
এছাড়াও প্রিয়জনের মরদেহ পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে বা পর্বতের শেষ প্রান্তে কফিনে ঝুলিয়ে রাখতেও দেখা যায়।

এমন অদ্ভুত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া তোরাজান ঐতিহ্যের কেন্দ্রীয় অংশ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যেখানে কবর দেওয়া হয় গাছে

আপডেট টাইম : ১১:২০:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

ছবিতে যে গাছগুলো দেখছেন তা শুধু গাছই নয়, এগুলো এক একটি কবরও। একেকটি গাছের ভেতর কম করে হলেও রয়েছে এক ডজন শিশুর মরদেহ!

কিন্তু গাছের ভেতর কবর দেওয়ার রীতি এলো কী করে? জায়গাটা ইন্দোনেশিয়া। এখানে কোনো শিশু মারা গেলে গাছের ফাঁপা গর্তে তাদের কবর দেওয়া হয়।

দক্ষিণ-স্যুলাওয়াসির একশো ৮৬ মাইল উত্তরের প্রাদেশিক রাজাধ‍ানী মাকাস্সারের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল তানা তোরাজার শাস্ত্রীয় আচারে পরিণত হয়েছে মরদেহ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এ রীতি।

এখানে গ্রামবাসী গাছের গায়ে গর্ত খুঁজে কাপড়ে জড়ানো শিশুর মরদেহ সংস্থাপন করে। এরপর গর্তটিকে পাম গাছের আঁশ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এক সময় গাছের গায়ের এ ফাটল বন্ধ হয়ে যায়। আর মৃতদেহ গাছের ভেতরে চলে যায়। তাদের বিশ্বাস, মৃত শিশুটি প্রকৃতির গর্ভে চলে যায়।

তবে যেসব শিশুরা দাঁত ওঠার আগেই মারা যায়, শুধু তাদেরই এভাবে সমাধি দেওয়ার নিয়ম। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এভাবে কবর দিলে বাতাস শিশুর আত্মাকে তুলে নিয়ে যায়।

তোরাজানদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ভিন্নতা এখানেই শেষ নয়। এ অঞ্চলে মৃত ব্যক্তির দেহ কবর থেকে তুলে কাপড় বদলে ও সাজিয়ে সারা গ্রাম জুড়ে হাঁটানোর রীতিও রয়েছে।

ব্যতিক্রম এ রীতির নাম মাইনেন। প্রতি তিন বছর পর পর মৃতদের প্রতি গ্রামবাসীর ভালোবাসা প্রকাশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়দের বিশ্বাস, যদিও তাদের পূর্ব-পুরুষদের অনেকেই একশো বছর আগে মারা গেছেন তবুও তারা এখনও তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
এছাড়াও প্রিয়জনের মরদেহ পাহাড়ের গায়ে গর্ত করে বা পর্বতের শেষ প্রান্তে কফিনে ঝুলিয়ে রাখতেও দেখা যায়।

এমন অদ্ভুত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া তোরাজান ঐতিহ্যের কেন্দ্রীয় অংশ।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।