ঢাকা ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাকা মোহামেডানের গোল উৎসব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫
  • ৪১৪ বার

গতকাল শ্রীলংকার সলিড এসসির বিপক্ষে কড়ায় গণ্ডায় আদায় করে নিলেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। একের পর এক গোল করে উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। গুনে গুনে হাফ ডজন গোল দেন তারা অতিথি দলকে।

প্রতিপক্ষ দলকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে নিজেদের সেমিফাইনালের পথ প্রশস্ত করেছে ঢাকা মোহামেডান। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ এ জয়টি উৎসর্গ করা হয়েছে ঢাকা মোহামেডানের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের প্রয়াত ফুটবলার রাজীবকে। গত ২০ অক্টোবর মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু হয় রাজীবের। ম্যাচ শেষে জয়টি রাজীবকে উৎসর্গ করেন ঢাকা মোহামেডয়ানের কোচ মো. জসিম উদ্দিন জোসী।।’

ক্ষিপ্র গতি, সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নির্ভুল পাসসহ তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচ শুরুর পর থেকেই একের পর এক পরিকল্পিত আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে দিশেহারা করে দেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোলের উৎসব শুরু করেন। ফিরতি বলে কোনাকুনি শটে দলকে আনন্দে ভাসান ফয়সাল মাহমুদ ১-০। এর আট মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় মোহামেডান। ডানপ্রান্ত থেকে জীবনের চমৎকার ক্রসে পা লাগিয়ে জনি বল জালে পাঠিয়ে দেন ২-০। দলীয় হ্যাটট্রিক গোলটি করেন ঢাকা মোহামেডানের অধিনায়ক অরূপ বৈদ্য।

অধিনায়ক অরূপের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে অরূপ কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ৩-০। দলের চতুর্থ গোলেও রয়েছে অধিনায়কের অবদান। ডানপ্রান্ত থেকে অরূপের নিখুঁত ক্রসে জীবন ফিনিশিং টাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকান সলিড এসসিকে গোলের বন্যায় ভাসান ৪-০।গোলরক্ষক রানা পেনাল্টি বক্সের বাইরে চলে আসেন ওলেমিকে প্রতিরোধ করতে। তাকেও কাটিয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন ওলেমি ৪-১। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আসে সলিড এফসির একমাত্র গোলটি।

বিরতির পর আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকেন ঢাকা মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কামারা। কর্নার কিক নেন ফয়সাল মাহমুদ। পেনাল্টি বক্সের সামনে দাঁড়ানো কামারা হেড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন ৫-১।ডান প্রান্ত থেকে সবুজের ক্রস থেকে পাওয়া বলটি সলিড এফসির জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি সোহাগ ৬-১।

গোলের অনেক সুযোগ পেয়েও ফরোয়ার্ডরা তা কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচটি ১-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডানকে। গোল না করতে পারার আক্ষেপ যেন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা মোহামেডানের গোল উৎসব

আপডেট টাইম : ০৯:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫

গতকাল শ্রীলংকার সলিড এসসির বিপক্ষে কড়ায় গণ্ডায় আদায় করে নিলেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। একের পর এক গোল করে উৎসবে মেতে ওঠেন তারা। গুনে গুনে হাফ ডজন গোল দেন তারা অতিথি দলকে।

প্রতিপক্ষ দলকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে নিজেদের সেমিফাইনালের পথ প্রশস্ত করেছে ঢাকা মোহামেডান। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ এ জয়টি উৎসর্গ করা হয়েছে ঢাকা মোহামেডানের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের প্রয়াত ফুটবলার রাজীবকে। গত ২০ অক্টোবর মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু হয় রাজীবের। ম্যাচ শেষে জয়টি রাজীবকে উৎসর্গ করেন ঢাকা মোহামেডয়ানের কোচ মো. জসিম উদ্দিন জোসী।।’

ক্ষিপ্র গতি, সম্মিলিত প্রচেষ্টা, নির্ভুল পাসসহ তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচ শুরুর পর থেকেই একের পর এক পরিকল্পিত আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে দিশেহারা করে দেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোলের উৎসব শুরু করেন। ফিরতি বলে কোনাকুনি শটে দলকে আনন্দে ভাসান ফয়সাল মাহমুদ ১-০। এর আট মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় মোহামেডান। ডানপ্রান্ত থেকে জীবনের চমৎকার ক্রসে পা লাগিয়ে জনি বল জালে পাঠিয়ে দেন ২-০। দলীয় হ্যাটট্রিক গোলটি করেন ঢাকা মোহামেডানের অধিনায়ক অরূপ বৈদ্য।

অধিনায়ক অরূপের দিকে বল বাড়িয়ে দিলে অরূপ কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন ৩-০। দলের চতুর্থ গোলেও রয়েছে অধিনায়কের অবদান। ডানপ্রান্ত থেকে অরূপের নিখুঁত ক্রসে জীবন ফিনিশিং টাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকান সলিড এসসিকে গোলের বন্যায় ভাসান ৪-০।গোলরক্ষক রানা পেনাল্টি বক্সের বাইরে চলে আসেন ওলেমিকে প্রতিরোধ করতে। তাকেও কাটিয়ে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন ওলেমি ৪-১। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আসে সলিড এফসির একমাত্র গোলটি।

বিরতির পর আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকেন ঢাকা মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দলকে পঞ্চম গোলটি এনে দেন মোহামেডানের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কামারা। কর্নার কিক নেন ফয়সাল মাহমুদ। পেনাল্টি বক্সের সামনে দাঁড়ানো কামারা হেড করে বল জালে পাঠিয়ে দেন ৫-১।ডান প্রান্ত থেকে সবুজের ক্রস থেকে পাওয়া বলটি সলিড এফসির জালে পাঠাতে কোনো ভুল করেননি সোহাগ ৬-১।

গোলের অনেক সুযোগ পেয়েও ফরোয়ার্ডরা তা কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ওই ম্যাচটি ১-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডানকে। গোল না করতে পারার আক্ষেপ যেন