হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাঙালির বড় প্রিয় মশলা–গরম মশলা! মোচার ঘণ্ট হোক কি কচি পাঁঠার ঝোল গরম মশলার ছোঁয়া ছাড়া বঙ্গমন ঠিক ভরে না! এই গরম মশলার একটা উপাদান দারচিনি! গন্ধতেই মন হুহু করে ওঠে! তবে, যদি ভাবেন শুধু খাবারের স্বাদ বাড়িয়েই দারচিনি ক্ষান্ত থাকে, তবে ভুল! দারচিনির রয়েছে আরও নানা গুণ–
ব্রণর সমস্যায় নাজেহাল? কুছ পরোয়া নেহি! এক ভাগ দারচিনির সঙ্গে তিন ভাগ মধু মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগান। ২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ মুখের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়, রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ায়। টানা ২-৩ দিন এমনটা করলেই ব্রণ গায়েব! ত্বকে কোনও দাগছোপও থাকবে না!
দারচিনির ব্যাক্টিরিয়ারোধী উপাদান ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। দারচিনি, কলা, লেবুর রস এবং টক দই মিশিয়ে মুখ ও গলায় লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের র্যাশ দূর হয়, ত্বক টানটান থাকে ও বলিরেখাও কমে যায়।
যাঁরা হাড়ের জয়েন্ট বা গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁরা হালকা গরম জলে এক চা-চামচ মধু আর ২ চা চামচ দারচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে, ব্যথার জায়গায় দিনে দু’বার মালিশ করুন। ২-৩দিনের মধ্যেই ম্যাজিকের মতো ফল পাবেন!
পেটের সমস্যা দূর করতে দারচিনির কোনও বিকল্প নেই। দারচিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি গায়েব! পেট পরিষ্কার রাখতে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে দারচিনির সঙ্গে হরিতকিগুঁড়ো মিশিয়ে খান।
প্রতিদিন নিয়ম করে অর্ধেক চা চামচ দারুচিনিগুঁড়ো খেলে রক্তে খারাপ কোলস্টেরল (এলডিএল)-এর মাত্রা কমে যায়, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। টাইপ-২ ডায়াবিটিস রোগিদের জন্য বিশেষ উপকারি।
ঠাণ্ডা লেগে গলা ব্যথা বা খুশখুশে কাশিতে মধু মেশানো চায়ের সঙ্গে দারচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে খেলে আরাম পাবেন।
আর্থরাইটিসের সমস্যায় ভুগলে এক কাপ গরম জলের মধ্যে দু চা চামচ মধু আর দারচিনিগুঁড়ো মিশিয়ে সকাল ও বিকেলে খান। ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।