আ.লীগের ঘেরাও-বিক্ষোভে শুরু রংপুর সিটি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক দলের মেয়র মনোনয়ন-প্রত্যাশী রাশেক রহমানের নেতাকর্মীদের ঘেরাও ও বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
আজ ঢাকায় যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা রংপুর সিটির তফসিল ঘোষণা করেন তখন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছিলেন আওয়ামী লীগের একাংশের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। তাদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পরও নগরির অনেক স্থান থেকে বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর ব্যানার-পোস্টার সরানো হয়নি। এতে তার প্রতি নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাত রয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো অপসারণের দাবি জানান তারা।
বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুও এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একজন মনোনয়ন-প্রত্যাশী।
আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২২ নভেম্বর। আপিল দায়ের ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৪ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ ২১ ডিসেম্বর।

তফসিল ঘোষণার আগে দুপুর ১২টায় যুবলীগ নেতা জুয়েল ও তুহিনের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের মনোনয়ন-প্রত্যাশী রাশেক রহমানের নামে স্লোগান দিয়ে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও করেন। ঘেরাও চলাকালে অফিসের নিচে নেমে আসেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার। রাশেক রহমানের সমর্থকরা তার হাতে তুলে দেন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যক্তিবিশেষের প্রতি পক্ষপাত না করার দাবিসংক্রান্ত স্মারকলিপি।

এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাশেদুন্নবী জুয়েল বলেন, সিটি নির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশন পোস্টার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু নগরজুড়ে টানানো তার পোস্টার-ফেস্টুন সরাননি।

এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করে যুবলীগের আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা মানা যায় না। আমরা নির্বাচন কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি, এর মধ্যে মেয়রের পোস্টার-ফেস্টুন সরিয়ে না ফেললে বড় কর্মসূচি দেয়া হবে।’

নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমরা যুবনেতা রাশেক রহমান ভাইয়ের সব ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলেছি। কিন্তু মেয়র এখনো তার ব্যানার-ফেস্টুন সরাননি। তিনি নানা অনিয়ম করছেন। তার পোস্টার-ফেস্টুন সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে সাঁটানো হচ্ছে। আমরা সন্দেহ করছি নির্বাচন কমিশন তাকে  (মেয়র) সাপোর্ট দিচ্ছে।’

তবে বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকারের বলেন, পোস্টার ও দেয়াল লিখন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর ধারা অনুযায়ী বিলবোর্ড ও ফেস্টুন সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিধি অনুযায়ী আইন প্রয়োগ করবেন তারা।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করছেন মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে যেসব বিলবোর্ড-ফেস্টুন লাগাতে বলেছিল আমি শুধু সেগুলো লাগিয়েছি।’
দলীয় প্রতীকে এবারের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারসংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো এই সিটির ভোট হয়েছিল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর