রোহিঙ্গাদের দেখার নামে খালেদা জিয়া যাওয়ার মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি : ওবায়দুল কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, শুনেছি আপনি রোহিঙ্গাদেরকে দেখার জন্য সড়ক পথে কক্সবাজার যাবেন। যাই হোক বহু দিন পর হলেও আপনি রোহিঙ্গাদের দেখতে সড়ক পথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবেন আবার কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসবেন।
রোহিঙ্গাদের দেখার নামে খালেদা জিয়া সড়ক পথে আসা যাওয়ার মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। দয়া করে রাস্তা দখল করে সভা সমাবেশ করে রাজনীতির নামে কোন প্রকার ষড়যন্ত্র করবেন না। এটা আমার আদেশ নয়, নির্দেশও নয়, তবে বিএনপি নেত্রীকে আমি অনুরোধ করছি। সেদিন লন্ডন থেকে বহুদিন পর দেশে এসে ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দরে সংবর্ধনার নামে আপনারা যে তান্ডব চালিয়েছেন। তাতে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সীমা ছিল না, সারা দিন সারা রাত মানুষ কষ্ট করেছে।
তিনি গতকাল সকাল ১১টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কবি জসীম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধীনে সেকেন্ডারি এ্যাডুকেশন কোয়ালিটি এ্যান্ড এক্সসেস এনহান্সমেন্ট (সেকায়েপ) প্রজেক্টের উদ্যোগে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী উদ্দীপনা পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষক-অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য এই সব কথা বলেন। এর আগে তিনি কবি জসীম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন উদ্ধোধন করেন। মন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ করে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে হাসিমুখে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম বিএনপির এই খুশির স্রোত অচিরেই ভাটা পড়বে। ১০ দিন যেতে না যেতে কর্পুরের মত উবে গেল তাদের সেই আশা। রঙ্গীন বেলুনের মত ছুপছে গেছে, রাজনীতি তাদের সেই ভরসা। তারা এখন বলছে, নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ লোভ দেখানো। তারা কখন কি বলছে, তারাই নিজেরাই বুঝে না।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ্যে করে মন্ত্রী বলেন, আপনি ২২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, রাস্তা ঘাট, বিদুৎ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিছুই করেন নি। মানুষের কাছে কি নিয়ে আসবেন। তিনি বলেন, আমার জন্য কোন তোরণ নির্মাণ না করে, ঐ টাকা গরিব, দুস্থ, অসহায় মানুষদের মাঝে বিতরণ করলে আমি খুশি হতাম।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপের প্রকল্প পরিচালক ড.মোঃ মাহমুদ-উল-হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সুলতান আহমেদ চৌধুরী বাবুল, জেলা আ’লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নাজমুল হক নাজিম, আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীম, স্বাধীনতা ব্যাংকাস পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, চেয়ারম্যান নুরুল হুদা, চরফকিরা ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর