প্রধানমন্ত্রীর স্বার্থে লাগলেই রাজাকার: গয়েশ্বর

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ‘রক্তশূন্য সরকার’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন যাদের নাই, তারা সবসময় ভয় পাবে এটাই স্বাভাবিক। এই সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নয়। বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করতে এদের পতন অনিবার্য।

বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর বলেন, কথায় কথায় রাজাকার খোঁজেন। আপনার (প্রধানন্ত্রী) স্বার্থে লাগলে রাজাকার আর স্বার্থের জন্য সব একাকার, তখন আর কেউ রাজাকার থাকে না। সেজন্য আজ দেশে একের পর এক সহিংসতা ঘটে যাচ্ছে অথচ আপনার কোনো হুশ নেই। বিএনপি-জামায়াতের ওপরে দায় চাপাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, সবেই আপনার ঘরে।

প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সমালোচনা করে বিএনপি বলেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমি তাকে স্যালুট করি। কিন্তু আপনারা নিজ দেশে গণতন্ত্র রাখবেন আর বাংলাদেশে গণতন্ত্র রাখতে বাধা দেবেন, তা মেনে নেওয়া যায়। হিন্দুদের হত্যা করা হলে প্রতিবাদ করেন আর মুসলমান, খ্রীষ্টান খুন ও গুম হলে প্রতিবাদ করেন না কেন?

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালন করে আর খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করলেই দোষ। ভারত যদি আপনাদের এত বন্ধু রাষ্ট্র হয়ে থাকে তাহলে ভারতকে কেন বলতে পারেন না, এই দিন আমার বাবার মৃত্যুর দিন তাই এ দিন যারা স্বাধীনতা দিবস পালন করে তাদের সঙ্গে আমার সর্ম্পক নাই। আপনি কী ১৫ আগস্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান না। তাহলে সেই দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন আর খালেদা জিয়া তার জন্মদিনের কেক কাটলে মামলা দেন কেন ?

তিনি বলেন, বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পত্তি শতকরা ৯০ ভাগ দখল করেছে আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায় তাহলে প্রতিটি অন্যায় কর্মকাণ্ডে বিচার করবে। এমনকি যারা এখন বিচার করছেন না তাদেরও বিচার করা হবে। তাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিত্যা মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে রেহাই পায় পাওয়া যাবে না।

জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা, কাজেই আজকে যখন তাকে রাজাকার বলা হয় তখন রাষ্ট্রদোহ মামলা হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ডা.দেওয়ান সালাহ উদ্দিন বাবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, নিবার্হী কমিটির সদস্য নিপুন রায় প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর