সীমিত পরিসরে আ.লীগের দলীয় কার্যক্রম শুরু: ওবায়দুল কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সীমিত পরিসরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হলো। যেসব জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো।

সভার শুরুতে ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির প্রয়াণে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এরপর সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। গণভবন থেকে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভার কার্যক্রম সম্পর্কে শেখ হাসিনার কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা আমাদের সভাপতির একটা গাইডলাইন চাই। আমরা নিজেরা কিছু বিষয় আলোচনা করেছি। এর মধ্যে রয়েছে- আমাদের যেসব জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে তাদেরকে আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে আপনার অফিসে (সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়, ধানমণ্ডি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। আরেকটি হলো, এই সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সম্পাদককে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট উপ-কমিটি গঠনের রিকমেন্ডেশন তৈরি করেছি। এছাড়া আমরা সীমিত আকারে সাংগঠনিক কর্মসূচি এখন থেকে পালন করার জন্য তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত পালনের জন্য একটি নির্দেশনা দিচ্ছি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার জন্মদিন। এটা আমরা খুব সীমিত আকারে পালন করবো। এটা প্রতিবছরই করে থাকি। আপনি না বললেও করবো।

জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, আমার জন্মদিন পালনের প্রস্তাব আমি গ্রহণ করছি না। বাকিগুলোর মধ্যে সাব-কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার সিদ্ধান্ত খুবই ভালো। এটা করা উচিত। যাতে সাব-কমিটিগুলো বসতে পারে। বিষয় ভিত্তিক সেমিনার করা, আলোচনা করা। আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যত কর্মসূচি সেগুলো ঠিক করা। সাব কমিটিগুলো এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে।

সভায় বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০১ সালের পর ক্ষমতায় এসে মানুষ হত্যা করেছে। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর