র‌্যাগিং আতঙ্কে ইবির নবীনরা, প্রতিরোধে ব্যবস্থা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হচ্ছে আগামীকাল রবিবার থেকে । ক্লাস শুরুকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নবীন শিক্ষার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেছে। তারা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলের কক্ষে, গণরুমে ও ক্যাম্পাসের আশেপাশের বিভিন্ন মেসে উঠেছেন।

তবে এসব শিক্ষার্থীদের ভদ্রতা শেখানোর নামে ক্যাম্পাসে চলছে র‌্যাগিংয়ের মতো নিষিদ্ধ কার্যক্রম। ইবি প্রশাসন র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিলেও একদল শিক্ষার্থীরা এসব কার্যক্রম করে নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইবির লালন শাহ হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হলসহ বিভিন্ন আবাসিক হলের গণরুমে র‌্যাগিং চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইবি প্রশাসন র‌্যাগিং প্রতিরোধে ও দমনে ব্যবস্থা গ্রহণি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন।

লালন শাহ হলের সর্ব দক্ষিণ ব্লকের নিচতলার গণরুমে, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দক্ষিণ ব্লকের চারতলায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দেশীয় ব্লকের গণরুমগুলোসহ বিভিন্ন আবাসিক হলগুলোতে চলছে র‌্যাগিংয়ের কার্যক্রম। কে বা কারা শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টির লক্ষ্যে এসব কাজ করছে।

সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগে ভর্তি হওয়া এক নবীন শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের এক আবাসিক হলে উঠেছি। ভয়ে ভয়ে থাকতে হচ্ছে ক্যাম্পাসে। এতোমধ্যে কিছু বড় ভাই এসেছে আমাকে নানা প্রশ্ন করে জর্জরিত করেছে। ক্যাম্পাস লাইফে আমরা স্বাধীনতা চাই।

ইতোমধ্যে প্রশাসন র‌্যাগিং প্রতিরোধে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সম্পূর্ণ র‌্যাগিং বন্ধে এবং র‌্যাগিং সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে সহকারী প্রক্টরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন।
এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি র‌্যাগিংয়ের ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছি এবং হাউজ টিউটরদের নিয়ে মুভও করেছি। র‌্যাগিং দমনে আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি এবং এ সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টরদের জানানোর অনুরোধ করছি।’

উল্লেখ্য, গত বছর ইংরেজি বিভাগ, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিভাগ সহ কয়েকটি বিভাগে র‌্যাগিংয়ে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোট ১০ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করে প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে শিক্ষককে শ্রেণীকক্ষ থেকে বের করে দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং দেয়ার মতো ঘটনা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর