হতাশায়’ বিএনপি নেতার আত্মহত্যা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আত্মহত্যা করেছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম (৫০) । নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। তিনি গড়কান্দা গ্রামের মকরব আলীর ছেলে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ও পরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন এ বিএনপি নেতা। রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে থানায় প্রেরণ করে পুলিশ।

পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি নিয়ে গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপজেলার গড়কান্দা কবরস্থানে লাশ দাফন করে তার পরিবার।

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন ওই বিএনপি নেতা, তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্বজনরা।

নালিতাবাড়ী শহর বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমিরুলের মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক। মূলত হতাশা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, তিন সন্তানের জনক আমিরুল ইসলাম রাজনীতি করার কারণে কাজকর্মে নিয়মিত ছিলেন না। তাই পরিবার চালাতে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করতে থাকেন। সব সম্পত্তি বিক্রি করতে করতে শেষ হয়ে যাওয়ার পর হতাশায় ভুগতে থাকেন আমিরুল।

আমিরুলের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘রাতে ঘুম হতো না আমার স্বামীর। প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খেতেন। বুধবার রাতে আমাকে বকাবকি করে সন্তানসহ ঘর থেকে বের করে দেন। তার মনের অবস্থা ভালো নেই বুঝে আমরা শাশুড়ির ঘরে আশ্রয় নিই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আবার ঘরে ঢোকার জন্য দরজায় ডাকাডাকি করি। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখি গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেহ।’

আমিরুল কেন আত্মহত্যা করলেন, এ বিষয়ে জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সবসময় হতাশায় ভুগতেন। এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আমাদের ভাতের অভাব ছিল না। আগে সম্পত্তি ছিল, কিন্তু সব বিক্রি করে ফেলায় আমার স্বামী সবসময় হতাশায় থাকতেন। তিনি শুধু টাকা টাকা করতেন।’

ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার আগে আমিরুল ২৮টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বাছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘আমিরুলের পরিবার ও তার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি একসময় তাদের অনেক সম্পত্তি ছিল। কিন্তু সেগুলো বিক্রি করে ফেলার পর থেকে হতাশায় ভুগছিলেন আমিরুল। এ কারণেই ফাঁসিতে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর