প্রকল্পে ত্রুটি থাকলে তালিকা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

হাওর বার্তাঃ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে তার তালিকা প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রকল্পের গতি অর্জন ও কাজের মান বৃদ্ধি করতে হবে। এর জন্য সকল বিধিবিধান মান্য করতে হবে। বর্তমানে প্রকল্পের পিডিদের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এর আগে কখনও এত সুযোগ সুবিধা  দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি প্রকল্পে কাজের মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ কথা বলেন।

অগ্রগতিহীন প্রকল্পকে দুর্বল প্রকল্প অভিহিত করে পরিকল্পনা বলেছেন, দুর্বল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হওয়া সম্মানের বিষয় নয়। মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প কাজে গাফিলতি বা সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। আবার শেষ সময়ে তাড়াহুড়ো করে মান ক্ষুণ্ন করা যাবে না। প্রকল্প কাজে কেন দেরি হয় তার সমাধান বের করতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো প্রকল্প চলাকালীন প্রকল্প পরিচালক বদলি বা একই প্রকল্পের দুজন প্রকল্প পরিচালক থাকতে পারবে না। একনেক সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বই আকারে ছাপিয়ে প্রকল্প পরিচালকদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স’ায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম  চৌধুরী, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান,  বাস্তবায়ন পরীবীক্ষণ ও মূল্যয়ন বিভাগের সচিব আবুল মনসুর  মো. ফয়েজউল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সাবিক) শংকর রঞ্জন সাহাসহ প্রকল্প পরিচালকরা সভায় উপসি’ত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ হাজার ৮ শ ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১শ ৯৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ১শ ৪টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শূন্য অগ্রগতিসম্পন্ন প্রকল্প ১২টি, ধীর অগ্রগতিসম্পন্ন প্রকল্প ৩১টি এবং তুলনামূলকভাবে ভালো অগ্রগতি সম্পন্ন প্রকল্প ৬১টি। গত আগস্ট পর্যন্ত ১শ ৪১ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৫৭  কোটি ৭১ লাখ টাকা যা,  মোট এডিপির বরাদ্দের ৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর