হাওর বার্তা ডেস্কঃ সৌম্যর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তামিম ইকবাল। শুধু তাই নয়, এবারের বিশ্বকাপে লিটন দাসও ভালো কিছু করতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘বড় আসরে প্রস্তুতির জন্য সৌম্য ও লিটন অনেক সুযোগ পেয়েছে। এবারের বিশ্বকাপে তাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা প্রবল। তারা কত ভালো সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়ার এটাই সেরা সময়।’
নিজের সম্পর্কে তামিম বলেন, বিশ্বকাপে আমি কী করতে পারব, সেটা নিয়ে কিছুই ভাবছি না। ইংল্যান্ডে অনেক কিছুই করেছি, সেটা আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। আমি শুধু এটুকুই জানি যে বিশ্বকাপ আমাদের জন্য খুবই কঠিন একটা টুর্নামেন্ট। যদি বড় কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে।
চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলাই তামিমের লক্ষ্য, আমি অযথা চাপ নিতে চাই না। আমি টার্গেট নিয়ে খেলতে চাই, হয়তো সেটা নাও অর্জন করতে পারি। তাই নিজের টার্গেট নিয়ে কিছু বলতে চাই না। দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, আমি সেটা পালন করতে চাই।
বাংলাদেশ দল আগামী ১ মে আয়ারল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে। বিশ্বকাপের আগে স্বাগতিক দল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলবে তারা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে আগামী ২ জুন। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের দল।
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যচে সৌম্য খেলেছেন ২০৮ রানের অপরাজিত দ্বিশতক। ১৫৩ বলে ১৪টি চার ও ১৬টি ছক্কায় এই ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। ইতিহাস গড়ার দিনে আরো কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েছেন তিনি।
রকিবুল হাসানের ১৯০ রান টপকে এদিন দ্বিশতক করেন তিনি। এই ম্যাচে সৌম্য ১৬টি ছক্কা মেরেছেন। যেকোনো ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশের মাটিতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মার।
আরেকটি বড় রেকর্ড হয়েছে ওপেনিংয়ে। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং জুটিতে দুজনে মিলে করেন ৩১২ রান।
অবশ্য এটি সৌম্যের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে যুব এশিয়া কাপে একটি দ্বিশতক করেছিলেন। ২০১২ সালে কাতারের বিপক্ষে সে ম্যাচে করেছিলেন ২০৯ রান।