ঢাকা ১১:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বাগেরহাটে ৪০ মন জমজ ভাই সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে এলাকায় ব্যাপক আলোচিত জমজ ভাই সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি হলো। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টায় নিজ গ্রামের এই একজমজ গরু ক্রয় করেছেন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকাহাঁকি-জাতীয় ব্যাপক প্রচারণার পর অবশেষে তাদের দুজনকে বিক্রি করা হলো। আর এরি সাথে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হলেন জমজ দু’ভাইয়ের লালন-পালনকারী। হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী বলেন, ‘আমার বাবার বয়স একশ’ বছরের বেশি, তাঁর ইচ্ছে এবছর বড় আকারে কোরবানী দেবে। এলাকাবাসীও চেপে ধরলো।

 

আমি মেম্বারদের সাথে কথা বললাম, তারাও রাজি। এদিকে মুনজুরুল আলম চৌধুরী গ্রামের আত্মীয়। তার গরু নিয়ে নানা ধরণের প্রচারণার প্রেক্ষিতে তা বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। সবদিক বিবেচনা করে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় গরু দু’টি কিনলাম।’ মুনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জমজ গরুর ওজন হবে প্রায় ৪০ মন। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তাদের কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাপারী বাড়িতে আসেন, নানা জায়গা হতে ফোনও আসে। প্রথমে চার লাখ থেকে পরে ১৫/ ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকানো হয়। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই দুভাইকে দেখতে আসে।

 

কিন্তু বাস্তুবে কেনার জন্য টাকা নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি এদিকে এবারের ঈদে তাদের বিক্রি করতে না পারলে মহা মুশকিলে পড়ে যাবো! ফি’ বছর তাদের রাখতে গেলে প্রতিটি গরুর পেছনে বছরে এক লক্ষাধিক টাকা ব্যায় গুনতে হবে। ঢাকার বাজারে নিতেও অনেক খরচ, গরুগুলোর শরীর ভারী, নিতে পথে মারা যাবে কি-না কে জানে! এমনি দুঃশ্চিন্তার মধ্যে যখন আমার সময় যাচ্ছে, তখন শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান গরু দু’টি কিনে আমাকে দুঃশ্চিন্তামুক্ত করেন।

 

গরুর ফার্ম মালিক মুনজুরুল আলম চৌধুরী আরো জানান, প্রত্যেকটি গরু লালন-পালনের পেছনে অনেক ব্যায়। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারদর কম। বাজারদর বাড়লে আগামীতে এই ফার্ম টেকাতে পারবো। চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মুনজুরুল আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন। ২০১৩ সালে চাকুরীতে অবসর গ্রহণ শেষে গ্রামে ফেরেন। নানা জাতের ৩২টি গরু নিয়ে শুরু করেন গরুর ফার্ম। সেই ফার্মে ‘হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান’ জাতের গাভী হতে জন্ম নেয় জমজ দু’টি এঁড়ে গরু। ফার্মের তত্তাবধানকারী তুষার শেখ প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রমে দু ’ভাইকে হৃষ্টপুষ্ঠ করে তোলেন। তুষার শেখ (১৮) বলেন, ‘এই দুই ভাইকে আমি অনেক ভালবাসি, রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি। ওরা চলে গেলে অনেক কষ্ট হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

বাগেরহাটে ৪০ মন জমজ ভাই সাড়ে ৬ লাখ টাকায় বিক্রি

আপডেট টাইম : ০১:২২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে এলাকায় ব্যাপক আলোচিত জমজ ভাই সাড়ে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি হলো। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টায় নিজ গ্রামের এই একজমজ গরু ক্রয় করেছেন। ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকাহাঁকি-জাতীয় ব্যাপক প্রচারণার পর অবশেষে তাদের দুজনকে বিক্রি করা হলো। আর এরি সাথে দুঃশ্চিন্তামুক্ত হলেন জমজ দু’ভাইয়ের লালন-পালনকারী। হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর আলী বলেন, ‘আমার বাবার বয়স একশ’ বছরের বেশি, তাঁর ইচ্ছে এবছর বড় আকারে কোরবানী দেবে। এলাকাবাসীও চেপে ধরলো।

 

আমি মেম্বারদের সাথে কথা বললাম, তারাও রাজি। এদিকে মুনজুরুল আলম চৌধুরী গ্রামের আত্মীয়। তার গরু নিয়ে নানা ধরণের প্রচারণার প্রেক্ষিতে তা বিক্রি করতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। সবদিক বিবেচনা করে সাড়ে ছয় লাখ টাকায় গরু দু’টি কিনলাম।’ মুনজুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘জমজ গরুর ওজন হবে প্রায় ৪০ মন। আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তাদের কেনার জন্য বিভিন্ন ব্যাপারী বাড়িতে আসেন, নানা জায়গা হতে ফোনও আসে। প্রথমে চার লাখ থেকে পরে ১৫/ ২০ লাখ টাকার দাম হাঁকানো হয়। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই দুভাইকে দেখতে আসে।

 

কিন্তু বাস্তুবে কেনার জন্য টাকা নিয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি এদিকে এবারের ঈদে তাদের বিক্রি করতে না পারলে মহা মুশকিলে পড়ে যাবো! ফি’ বছর তাদের রাখতে গেলে প্রতিটি গরুর পেছনে বছরে এক লক্ষাধিক টাকা ব্যায় গুনতে হবে। ঢাকার বাজারে নিতেও অনেক খরচ, গরুগুলোর শরীর ভারী, নিতে পথে মারা যাবে কি-না কে জানে! এমনি দুঃশ্চিন্তার মধ্যে যখন আমার সময় যাচ্ছে, তখন শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান গরু দু’টি কিনে আমাকে দুঃশ্চিন্তামুক্ত করেন।

 

গরুর ফার্ম মালিক মুনজুরুল আলম চৌধুরী আরো জানান, প্রত্যেকটি গরু লালন-পালনের পেছনে অনেক ব্যায়। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারদর কম। বাজারদর বাড়লে আগামীতে এই ফার্ম টেকাতে পারবো। চিতলমারীর হিজলা ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের জামাল উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র মুনজুরুল আলম চৌধুরী সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ছিলেন। ২০১৩ সালে চাকুরীতে অবসর গ্রহণ শেষে গ্রামে ফেরেন। নানা জাতের ৩২টি গরু নিয়ে শুরু করেন গরুর ফার্ম। সেই ফার্মে ‘হলিস্টেন ফ্রিজিয়ান’ জাতের গাভী হতে জন্ম নেয় জমজ দু’টি এঁড়ে গরু। ফার্মের তত্তাবধানকারী তুষার শেখ প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রমে দু ’ভাইকে হৃষ্টপুষ্ঠ করে তোলেন। তুষার শেখ (১৮) বলেন, ‘এই দুই ভাইকে আমি অনেক ভালবাসি, রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখি। ওরা চলে গেলে অনেক কষ্ট হবে।